মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একজন চীনা মহিলা তার ১৩৪তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এটা যদি সঠিক হয় তাহলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হবেন। ১৮৮৬ সালে সম্রাট গুয়াংঝু’র রাজত্বকালে জন্মগ্রহণ করা আলমিহান সেয়েতির সম্মানে গত ২৫ জুন একটি ভোজের আয়োজন করা হয়। মিজ সেয়েতি উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের শুলে কাউন্টিতে বাস করেন।
জাতিগত উইঘুর এই মহিলা তিনটি শতাব্দীতে জীবিত রয়েছেন, দুটি বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, অবশেষে ২০১৩ সালে চীনের প্রবীনতম নাগরিকদের তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেন যখন তার বয়স ছিল ১২৭ বছর। মিজ সেয়েতি যদি এতটা বৃদ্ধ হন যা দাবি করা হয় তাহলে তার জন্ম হয়েছিল কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্য রিপার ১৮৮৮ সালে পূর্ব লন্ডনের হুইটচ্যাপেলের আশেপাশে যখন তার হত্যাকান্ড শুরু করেছিলেন তারও আগে।
তবে তার দাবি অবিশ্বাস্য জন্ম রেকর্ডের কারণে সন্দেহে পড়েছে এবং কিছুটা যাচাই-বাছাইয়ের অধীনে এসেছে, যদিও তার চীনা পরিচয়পত্র রয়েছে যাতে তার জন্ম তারিখ ১৮৮৬ সালের ২৫ জুন বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলেছে যে, সেয়েতির বয়স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে বলা হয়নি, লন্ডনে নিবন্ধিত ফ্ল্যাশ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ক্যারি করেই তিনি প্রশংসিত হয়েছেন, পাশাপাশি সাংহাই চায়না রেকর্ডসও। এর অর্থ হ’ল তিনি গিনেসের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি জাপানের কেন টানাকা, যিনি জানুয়ারীতে ১১৭ বছর বয়সী ছিলেন তার চেয়ে ২৭ বছরের বড় হতে পারেন।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, ১৭ বছর বয়সে মিজ সেয়েতির বিয়ে হয়েছিল ১৯৭৬ সালে মৃত স্বামীর সাথে।
অশীতিপর এই বৃদ্ধা গাইতে ভালবাসেন এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো উপভোগ করেন। তিনি সুস্থ আছেন, এখনও শুনতে ও দেখতে পান, তবে আর হাঁটতে পারেন না। চীন সরকারের পক্ষ থেকে দাবির সত্যতা যাচাই না করা মিজ সেয়েতিকে জন্মদিন উদযাপন থেকে বিরত রাখেনি। তার পরিবারের সদস্যরা বলছিলেন যে, তিনি ‘ভিড় পছন্দ করেন’।
চিং রাজবংশের অন্তর্নিহিত অঞ্চলগুলি, বিশেষত জাতিগত সংখ্যালঘুদের এলাকার অবিশ্বস্ত উপাত্ত এবং আদমশুমারির অভাবের কারণে মিজ সেয়েতির জন্মের রেকর্ড কখনোই যাচাই করা যাবে না। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ফ্রান্সের জেনি লুইস ক্যালমেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে রয়েছেন। কলমেন্টের মৃত্যু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।