মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল। চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) তৈরি এ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিএনবিজি ও আমিরাতি গ্রুপ ৪২-এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে। চীনের প্রথম কোম্পানি হিসেবে সিএনবিজি’ই বিদেশে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের এই ভ্যাকসিনের প্রথম দুই ধাপের পরীক্ষা সফল হয়েছে। তবে চীনে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় এবার বিদেশে এর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে বড় পরিসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে 'ফেইজ থ্রি' ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পেয়েছে চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়।
নিজেদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর অপ্রতুলতা থাকায় বিদেশে এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভাইরাসে প্রাণহানি ঠেকাতে দুনিয়াজুড়ে কয়েক ডজন ভ্যাকসিনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে কোনো ভ্যাকসিনই এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করতে পারেনি।
ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সাধারণত কয়েক হাজার মানুষের ওপর চালানো হয়। বিষয়টি যাতে ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়, সেজন্য যেসব দেশে ভাইরাসের প্রকোপ বেশি সেসব দেশেই এই পরীক্ষাগুলো চালানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয় মূলত তিন ধাপে। প্রথম ধাপে থাকে সুরক্ষার পরীক্ষা। দ্বিতীয় ধাপে প্রতিরোধী ক্ষমতার পরীক্ষা এবং তৃতীয় ধাপে হয় বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা। মূলত তিনটি ধাপেই সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে কড়া নজর রাখা হয়। এসব পরীক্ষায় সফল হলে ভ্যাকসিনটি গণহারে মানুষের মধ্যে প্রয়োগযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
সিএনবিজি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনটি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সফল হয়েছে। ব্যবহারকারীদের কারোরই তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং ২৮ দিনে দু’টি ডোজ দেয়ার পরেই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার এ ভ্যাকসিনটি চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতেই বাজারে আসতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।