নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারত-শ্রীলঙ্কার ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বিতর্কের শেষ নেই। বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য মুত্তিয়া মুরালিধরন সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার পক্ষে ছিলেন না। ঐ ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। নতুন করে দেশটির সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথগামাগে একই অভিযোগ তুলেছেন।
এসব অভিযোগ এর আগেও উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক দুই লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। এবারও তাই করেছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবার হালকাভাবে নিচ্ছে না। তদন্ত করে সত্য বের করতে চায় দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ক্রীড়ামন্ত্রী দুলাস আলাহাপ্পেরুমা তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছেন। প্রতি দুই সপ্তাহ পর তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
২০১১ বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লঙ্কানরা আগে ব্যাট করে ছুঁড়ে দিয়েছিল ২৭৫ রানের লক্ষ্য। জবাবে গৌতম গম্ভীর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির দারুণ দুটি ইনিংসে জয় পেয়েছিল ভারত। ওপেনার গম্ভীর খেলেন ৯৭ রানের ইনিংস। অধিনায়ক ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ৯১ রান। কিন্তু ওই ম্যাচটি নাকি পাতানো ছিল! গেল বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ করেন শ্রীলঙ্কার তৎকালীন ক্রীড়া মন্ত্রী আলুথগামাগে। রাখঢাক না করে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে তিনি সরাসরিই বলেন, ভারতের কাছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল বিক্রি করেছিল শ্রীলঙ্কা!
আলুথগামাগে এক স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যাচের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল পাতানো ছিল। এটা হয়েছিল যখন আমি ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। আমি দায়িত্বের সঙ্গে বলছি; তবে দেশের স্বার্থে বিস্তারিত জানাচ্ছি না। ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, যেটা আমরা জিততে পারতাম আগে থেকেই সেটা পাতানো ছিল।’
আলাহাপ্পেরুমার নির্দেশ মেনে ক্রীড়া সচিব কেএডিএস রুয়ানচন্দ্র এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ইউনিটে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আলুথগামাগের দাবির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান ফাইনালে লঙ্কানদের নেতৃত্ব দেওয়া কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। সাঙ্গাকারা আইসিসি ও দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে প্রমাণ দিতে বলেন। ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহেলা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কি খুব কাছে? মনে হচ্ছে সার্কাস শুরু হয়ে গেছে। নাম ও প্রমাণ কই?’ ফাইনালে অধিনায়কত্ব করা সাঙ্গাকারার চুপ থাকেননি। ক্রীড়ামন্ত্রীকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ সহ আইসিসির কাছে যেতে বলেছেন তিনি, ‘নিজের প্রমাণ আইসিসি ও দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার, সেখানে অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত হতে পারে।’
এখন দেখার বিষয় কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।