পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। বাদ যাচ্ছেন না ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা চিকিৎসকরা। গতকাল বুধবার ঢাকা, দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের তিনজন চিকিৎসক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের একজন ডা. মো. আশরাফুজ্জামান সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালের সুপার ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডা. মো. আশরাফুজ্জামান মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, ডা. মো. আশরাফুজ্জামান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক এবং হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ছিলেন।
একই দিনে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদ মৃত্যুবরণ করেন। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ডা. শাহ আব্দুল আহাদ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ছিলেন। গত ৮ জুন তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি এম আব্দুর রহিম মেডিকেলে কলেজের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডা. শাহ আব্দুল আহাদের ডায়ারেটিস ও হার্টের সমস্যা ছিল।
এর আগে, বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক মারা যান। হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. আব্দুর রব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত ডা. নুরুল হক গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ডা. নুরুল হক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, এই তিন জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ৩৭ জন চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচ জন চিকিৎসক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।