Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানব পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপেও সফলতা পেল চীনা ভ্যাকসিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২০, ৬:৫৯ পিএম

চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি) তাদের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালের দুটি ধাপ সম্পন্ন করেছে। দুটি ধাপেই এটি নিরাপদ এবং করোনা প্রতিরোধে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সিএনবিজির সহযোগী সংস্থা উহান ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল প্রোডাক্ট গত এপ্রিল মাসে হেনান প্রদেশে এই ভ্যাকসিনের মানব পরীক্ষা শুরু করে। সিএনবিজি জানিয়েছে, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কম, মাঝারি ও উচ্চ মাত্রায় এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা জানার জন্য দুই সপ্তাহ, তিন সপ্তাহ বা চার সপ্তাহ পরে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছিল। মোট ১ হাজার ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোনওরকম দুর্ঘটনা বা মারাত্মক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভ্যাকসিনটি কাজ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই কর্মসূচিতে চার সপ্তাহের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে দুটি ডোজ দেয়া হয়। এতে দেখা গেছে ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডিগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে এবং সংক্রামক জীবাণুগুলোকে থেকে মানব কোষকে রক্ষা করে। এটি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়াল, যেখানে দুই ধাপেই করোনা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এই গবেষণা দীর্ঘতম সময়কালে এবং সর্বাধিক বিস্তৃতভাবে করা হয়েছে। এতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সবচেয়ে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে বিশ্বব্যপী ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য তারা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হচ্ছে এবং এটি বহু দেশের সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে ‘সহযোগিতায়’ ঐক্যমতে পৌঁছেছে। এতে কমপক্ষে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক জড়িত থাকবেন। চীনকে এই পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, কারণ কোভিড -১৯ রোগীর সংখ্যা সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে, ভ্যাকসিন আসলে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে কিনা সেখানে তা পরীক্ষায় নির্ধারণ করা কঠিন হবে।

চীনে পাঁচটি আলাদা ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। যার মধ্যে চারটি করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয়কারী ভ্যাকসিন এবং অন্য একটি অ্যাডেনোভাইরাস ভিত্তিক ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন প্রযুক্তিতে তৈরি। সিএনবিজি’র অপর একটি সহযোগী সংস্থা বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল প্রোডাক্টের একটি ভ্যাকসিনেরও ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। উভয় ইউনিটের ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য, সিএনবিজি অত্যন্ত উচ্চ স্তরের বায়োসেফটিসহ ল্যাব তৈরি করেছে যেখানে প্যাথোজেনিক ভাইরাস প্রক্রিয়া করার সুবিধা তৈরি রয়েছে। দুটি প্ল্যান্টের যৌথ বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২০০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ডোজ।

চীনের আরেক সংস্থা বেইজিংয়ের সিনোভাক বায়োটেক তাদের ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৯০ শতাংশের বেশি সফল বলে ঘোষণা দেয়ার একদিন পরেই সিএনবিজি তাদের পরীক্ষার ফলাফল জানালো। সিনোভাক জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ