পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মায় ভাঙনের তান্ডব চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। সেই তান্ডবের রেশ লেগেছে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামের পর গ্রাম, ফসলী জমি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। শুধু গতবারের ভাঙনেই গৃহহারা হয়েছে ১২শ’ পরিবার।
ভাঙন ঠেকাতে অনেক আকুতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হলেও কার্যত এসব শুধু মাত্র লোক দেখানোই। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবারো ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় হাজার পরিবার এবং দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট এবং বাজার। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তার মোড় পর্যন্ত ৪ কি. মি. এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নদীভাঙন হতে শুধুমাত্র দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটগুলোকে রক্ষা করতে বিআইডবিøউটিএ’র তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে এর বাইরে দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া কাওয়ালজানি ও মধ্য কাওয়ালজানিপাড়া, দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নং ব্যাপারীপাড়া, সাহাজদ্দিন ব্যাপারীপাড়া, লালু মন্ডলপাড়া, নতুনপাড়া, ফেরিঘাটের ভাটিতে বাহির চরের সাত্তার ফকিরপাড়া এবং ঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজীরপাড়া বড় মসজিদপাড়া ও সাহাদত মেম্বরপাড়ার অন্তত এক হাজার পরিবার এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা এবারের ভাঙনে এই গ্রামসহ ফেরিঘাটও বিলীন হয়ে যাবে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র বাদল মন্ডল (৮০) বলেন, গতবারের ভাঙনে এই গ্রামের বেশির ভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। নদী আমার বাড়ি থেকে অল্প কয়েক গজ দূরে আছে। ভাঙন শুরু হওয়া মাত্রই আর এখানে থাকতে পারবো না। এ অবস্থায় গত কয়েকদিনে নদীর পাড়ে থাকা ১৪-১৫টি পরিবার তাদের ঘর ভেঙে অন্যত্র চলে গেছে। আরো অনেকেই যাওয়ার জন্য বাড়ি ঘর ভাঙতে শুরু করেছে। কিন্তু আমার যাওয়ার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। এই ভিটাতেই খেয়ে না খেয়ে পড়ে আছি। এমন অসহায়ত্ব অবস্থা অন্য সবারও।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙনে তার বেশীর ভাগ এলাকা ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এবারো ২, ৪, ও ৫ নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা হুমকির মুখে রয়েছে। নদীভাঙন রোধে স্থানীয় এমপি, প্রশাসন ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেছি। কিন্তু কোন ফল পাইনি। ভরা বন্যার সময় যখন ভাঙনের তান্ডব শুরু হয় তখন মানুষকে দেখানোর জন্য শুধুমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, গত বছরের ভয়াবহ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ১২শ’রও বেশি পরিবার সর্বস্বান্ত হন। এবারো চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটসহ অন্তত ১ হাজার পরিবার। ঘাট এলাকায় বিআইডবিøউটিএ’র তত্ত্বাবধানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।