মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রায় তিন মাস আগে আটক হয়েছিলেন কানাডার আদিবাসী নেতা অ্যালান অ্যাডাম। সেই আটকের সময় তাকে মারধরের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে এখন। আর এরপরই পুলিশের আচরণ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন কানাডার নাগরিকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন চলছে তার সমর্থনে কানাডাতে বিক্ষোভ হয়েছে। এখন বিভিন্ন শহরে হওয়া সেই কর্মসূচিগুলোতে নিজ দেশের আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধেরও দাবি তুলছেন কানাডীয়রা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারাও পুলিশ বাহিনীর সংস্কার দাবি করছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আলবার্টার ফোর্ট ম্যাকমারিতে গত ১০ মার্চ রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) এক সদস্য আথাবাস্কা চিপেওয়ান আদিবাসী সংগঠন ফার্স্ট নেশনের প্রধান অ্যালান অ্যাডামকে আটকের সময় তাকে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন। পুলিশের গাড়িতে থাকা ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটি রেকর্ড হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ রেকর্ডটি প্রকাশ করে।
অ্যাডামকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভিডিওটি দেখেছি এবং ভীষণ অবাক হয়েছি। তবে আমরা এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়ব।’
গত সপ্তাহে কানাডায় পুলিশি নিপীড়ন ও বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ট্রুডো। তিনি বলেছিলেন, ‘কানাডার সব প্রতিষ্ঠানেই পদ্ধতিগত বর্ণবাদ এখনও রয়ে গেছে। আরসিএমপিসহ পুলিশ বিভাগের মধ্যেও পদ্ধতিগত বর্ণবাদ রয়েছে।’
শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আরসিএমপির কমিশনার ব্রেন্ডা লাকি বলেছেন, পদ্ধতিগত বর্ণবাদ পুলিশ বিভাগের জন্য কোনো সমস্যা কিনা তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে কানাডার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই পদ্ধতিগত বর্ণবাদ রয়েছে। আরসিএমপিতেও সে বর্ণবাদ রয়েছে বলে স্বীকার করেন কমিশনার ব্রেন্ডা। তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীত ইতিহাস থেকে আজ পর্যন্ত আমরা আদিবাসী এবং অশ্বেতাঙ্গদের জন্য ন্যয়বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি।’
ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অ্যাডাম কানাডার সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলেছেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু, তাই কেউ আমাদের হয়ে কথা বলে না। কিন্তু যখনি আমাদের কেউ কোনো ভুল করে, তখনি আরসিএমপি সুযোগ পেয়ে যায়। তখন তাদেরকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে দেখা যায়। যথেষ্ট হয়েছে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’
ট্রুডোর সরকারের বিরুদ্ধেও বর্ণবাদে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আদিবাসীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি নিপীড়ন চলে আসলেও ট্রুডো এখনও কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেননি। গত বছর প্রকাশিত খোদ সরকারি প্রদিবেদনে আদিবাসীরা ‘গণহত্যার শিকার হচ্ছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সে প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছিল তার একটিও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি ট্রুডোর সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।