মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও গোপনে চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে হাওয়াই ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সরকার করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, এ কারনেই পম্পেও চীনা কর্মকর্তাদের সাথে গোপনে দেখা করার জন্য এই সফরের পরিকল্পনা করছেন। তবে এই সভার আয়োজন এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্যে করতেও রাজি হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতেই পম্পেও এই বৈঠকের আয়োজন করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই বৈঠকের কথা জানা গেল। শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইটারে চীনে ‘আইনের শাসন নেই’ বলে তোপ দেগেছিলেন পম্পেও। এর আগেও তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে চীনা সরকারের সমালোচনা করেছেন। পম্পেও চলতি সপ্তাহে পম্পেও জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিষয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করার জন্য চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে দোষ দিয়েছিলেন। শুক্রবার পম্পেও চীনের এক কড়া সমালোচককে টুইট করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, চীন ‘নির্মমভাবে কমিউনিজম চাপিয়ে দিয়েছে’ কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করেছে। তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনও সমতা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনের শাসন রয়েছে, চীনের নেই। আমাদের বাক স্বাধীনতা আছে, তাদের নেই। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করি; চীন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চীন নির্মমভাবে কমিউনিজম চাপিয়ে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়।’
শুক্রবার চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আমেরিকাতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে মার্কিন সরকারের সমালোচনা করেছিল। বেইজিংয়ের জাতীয়তাবাদী ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে আমেরিকাকে ‘বর্বর ও লোভী’ দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যারা মানবতাবাদকে পাত্তা দেয় না। দুই দেশের মধ্যে এই চলমান উত্তেজনার মধ্যে পম্পেওর এই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।