Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আবহাওয়ার ম্যাপ দেখে করা যাবে করোনার ভবিষ্যদ্বাণী, দাবি বিজ্ঞানীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ৬:০৬ পিএম

করোনাভাইরাস পরবর্তী তরঙ্গটি কোথায় আঘাত হানবে তা আবহাওয়ার মানচিত্রগুলো দেখে অনুমান করা যাবে। একটি নতুন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে উচ্চ সংক্রমিত অঞ্চলগুলো ছিল এশিয়ার উহান, ইউরোপের প্যারিস এবং আমেরিকার সিয়াটলের মতো এলাকাগুলো। এগুলো সবই উত্তর অক্ষাংশের একই সরলরেখায় অবস্থিত। এসব শহরগুলোতে জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত একই রকমের শীতল তাপমাত্রা এবং তুলনামূলকভাবে কম আর্দ্রতা ছিল।

সমীক্ষায় বোঝা যায় যে, ভাইরাসটি ফ্লুর মতোই শীত এবং বসন্তের মাসগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিন ভিত্তিক দলটি বলেছে যে, এই মানচিত্র কখন এবং কোথায় করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য অন্যান্য বিজ্ঞানী এবং নীতিনির্ধারদের সহায়ক হতে পারে। ফলে, তারা ভাইরাসের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

গবেষকরা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে বিশ্বের ৫০ টি শহর থেকে আবহাওয়ার ডেটা সংগ্রহ করেছিলেন।

নভেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ডেইগু, স্পেন, ইতালির মিলান, ফ্রান্সের প্যারিস, ইরানের কওম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল, জাপানের টোকিও, এবং চীনের উহান- এই আটটি শহরের সংক্রমণের সাথে অন্য ৪২ টি শহরের তুলনা করা হয়েছে, যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা কাছাকাছি ছিল। ১০ মার্চের মধ্যে যেসব শহরে করোনায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই শহরগুলোই গবেষণায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। এই আটটি শহরের অবস্থান ৩০ ডিগ্রী থেকে ৫০ ডিগ্রী অক্ষাংশের মধ্যে একটি সরু রেখা বরাবর। তবে অন্যান্য শহর যেমন মস্কো, যার অবস্থান ৫৬ ডিগ্রী অক্ষাংশে, সেসময় সেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়নি।

গবেষকরা এরপর পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি জনবহুল এলাকাগুলোর তাপমাত্রা বিশ্লেষন করেন। ফলাফলগুলো দেখিয়েছে যে, জানুয়ারিতে উহান এবং ফেব্রুয়ারিতে অন্য সাতটি শহরে গড় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে ৪৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর মধ্যে ছিল। প্রতিটি শহরে প্রথম মৃত্যুর ২০ থেকে ৩০ দিন আগে তাপমাত্রা প্রায় একই ছিল, ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৪৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে। শহরগুলোতে আর্দ্রতাও একই পরিমাণে কম ছিল।

মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ সাজাদি ডেইলিমেইলকে বলেন, ‘আটটি শহরের প্রত্যেকটির তাপমাত্রার এই কাছাকাছি অবস্থান অবাক হওয়ার মতো।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করিনি যে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এতটা কাছাকাছি থাকবে।’ এতে বোঝা যায় ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং কম আর্দ্রতায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়। সূত্র: দ্য সান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ