পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, তখন দশ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। অথচ তখন খাদ্যের অভাব ছিল না। অমর্ত্য সেন তার বইয়ের মধ্যে পরিষ্কার বলেছেন, এটা ছিল মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। অর্থাৎ এক দিকে ম্যানেজমেন্টের সমস্যা, অন্যদিকে দুর্নীতি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি কমিউনিকেশন আয়োজিত আলোচনায় আরো অংশ নেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত কতটা ভঙ্গুর? মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে, প্রবৃদ্ধির কথা বলে, কিন্তু কোনো প্রবৃদ্ধি, কোনো উন্নয়ন সফল হবে না, যদি না সত্যিকার অর্থেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তা থেকে লাভবান হয়। আজকে এক শ্রেণির মানুষ অনেক উপরে উঠে গেছে। আরেক শ্রেণির মানুষ নিচে নেমে গেছে। এই অবস্থায় কখনো সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭৪’র দুর্ভিক্ষের পর জিয়াউর রহমান যখন দায়িত্বে আসেন তখন কৃষির ওপর গুরুত্ব দিয়ে একদিকে সেচের ব্যবস্থা করলেন, অন্যদিকে উন্নত বীজের ব্যবস্থা করলেন, কৃষি উপকরণগুলো সহজলভ্য করলেন, সার-কীটনাশকের ব্যবস্থা করলেন, তখন আবার দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো। আরেকটি যুগান্তকারী কাজ তিনি করেছিলেন। পল্লী বিদ্যুৎ তিনি নিয়ে এসেছিলেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেক বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল এই পল্লী বিদ্যুৎ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন এই ভয়ঙ্কর কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছি এবং জনগণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে তখন বার বার জিয়াউর রহমানের কথা মনে হয়। তার নেতৃত্ব যদি আর কিছু দিন পেতাম, তাহলে হয়তো এই ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, এই ভঙ্গুর অর্থনীতি দেখতে হতো না। তারপরও আমরা আশাবাদী। জিয়ার আদর্শ, ১৯ দফা কর্মসূচি, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এইগুলোকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, তারই যোগ্য উত্তরসূরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছেন তখনই কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষকেরা কৃষি ঋণের ব্যাপারে হয়রানি হতো, ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গ্রেফতার হতো। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে সুদসহ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে একইভাবে ১০ হাজার টাকা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। মসলার জন্য মাত্র দুই শতাংশ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন খালেদা জিয়া। কৃষি অধিদফতরকে শক্তিশালী করেছিলেন।
যারা বøক সুপারভাইজার ছিলেন, তাদেরকে তিনি কৃষি সহকারী হিসেবে পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। তার সময় ডেইরি ফার্ম অনেক বেশি বিস্তার লাভ করেছিল। তিনি ছোট ছোট খামার মালিকদের অনুদান দিয়েছিলেন। পোল্ট্রি উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মাছ চাষিদের প্রণোদনা দিয়েছিলেন। কোভিড-১৯ চলে যাওয়ার পর যে মন্দা আসবে, সেখানে টিকে থাকার একমাত্র খাত হচ্ছে কৃষি। তাই কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।