Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইইউ চায় জুনেই সীমান্ত খুলতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ৬ জুন, ২০২০

গ্রীষ্ম মৌসুম দুয়ারে। কিছুদিনের মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যাবেন পর্যটকরা। এ মৌসুমটি ওইসব দেশের জন্য আয়ের দারুণ এক সুযোগ। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে আসতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চায় যেন এর সদস্য দেশগুলো জুনের মধ্যেই তাদের সীমান্ত খুলে দেয়। ইইউর হোম অ্যাফেয়ার্স কমিশনার ইউলভা জোহানসন ইউরোনিউজকে এমনটাই বলেছেন। নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পর্যটকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, এতে ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের ধারণাটির মর্যাদাও কমছে এবং এ পর্যটন খাতে এ অঞ্চলের বিলিয়ন ইউরো রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। ইউরোপের সরকারগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিচ্ছে যে কখন ও কীভাবে সীমান্ত খুলে দেয়া যায়। জোহানসন বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা এমন একটা পর্যায়ে চলে এসেছি যখন অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা ও সকল প্রকার তল্লাশির কার্যক্রম তুলে নেয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করব যেন সব সদস্য দেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খুলে দেয়।’ কমিশনার জানান, এই অঞ্চলের দেশগুলো সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনা করে সীমান্ত খুলে দেবে এবং গত মাসে এ ব্যাপারে কিছু সুপারিশমালাও এসেছে। কমিশনার জানান, দেশগুলো অবশ্যই মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও মহামারীতে আর্থিক ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ইউনিয়নের নির্দেশনা মেনে চলবে। দেশগুলো দ্রুত সীমান্ত খুলে দেয়ার দিকে এগোচ্ছে বলে তিনি বেশ খুশি। এ নারীর কথায়, ‘আমার মনে হয়, কখনো কখনো আপনি কিছু না হারালে তার ব্যাপারে অনুভব করতে পারবেন না। নাগরিকরা সত্যিই আবারো স্বাধীনভাবে ঘুরতে চান।’ তিনি জানান, সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) সীমান্ত বন্ধ রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছে। ইসিডিসি মনে করছে, সীমান্ত বন্ধ রাখলে অর্থনৈতিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ জোহানসন আরো বলেন, ‘এসব আমলে নিয়ে আমার মনে হয়, এখন সীমান্ত খুলে দেয়ার সময় এসেছে।’ ইতালি গত সপ্তাহে সীমান্ত খুলে দিয়েছে, তাদের অনুসরণ করে জুনের মধ্যেই সীমান্ত খুলে দিতে যাচ্ছে এই ব্লকের অন্য দেশগুলোও। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও চেক রিপাবলিক মধ্য জুনেই সীমান্ত খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। শুধু স্পেনই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলবে জুলাই মাসে। কিছু দেশ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের পর্যটকদেরই স্বাগত জানাবে। কিছু দেশ আবার সেসব দেশের পর্যটকদেরই স্বাগত জানাবে যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। আর এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে প্রবেশ করতে গেলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা নাগরিকদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। যেহেতু যুক্তরাজ্য এখন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে নেই, তাই ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউরোপের অধিকাংশ দেশে সহজে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এদিকে আগামী ৮ জুন থেকে যারা যুক্তরাজ্যে যাবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহের জন্য সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকতে হবে। বিবিসি, ইউরোনিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ