নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের প্রভাবে এবারের এশিয়ান জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে অনলাইনে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের তিন দাবাড়ু খেলেছেন আসরের মূল পর্বে। সেখানে অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান, তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম।
টুর্নামেন্টে এশিয়ার সাত জোন থেকে ২১ জন দাবাড়ু চূড়ান্ত পর্বে খেলেন। ছেলেদের বিভাগে ফাহাদ হয়েছেন ১২তম। প্রথমবার অনলাইনে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ফাহাদ বলেন, ‘এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। পারফরম্যান্স ভালোই হয়েছে। অনেক ভালো প্রতিযোগী ছিল আসরে। তাদের সঙ্গে খেলে শেখাও গেছে। তবে শুরুতে কিছুটা জড়তা ছিল। আস্তে আস্তে তা কেটে গেছে।’
যদিও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া বাংলাদেশের এই দাবাড়–র কিছুটা আক্ষেপও আছে। তার কথায়, ‘দ্রæতগতির এই দাবায় আরো একটু ভালো করতে পারলে ভালো লাগতো। বিশেষ করে যে চার ম্যাচে হেরেছি আমি, তার মধ্যে তিনটিতে তো জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে ঠিক মতো খেলতে পারিনি। যদি সেখান থেকে দেড় পয়েন্ট পেতাম তাহলে সেরা তিনে থাকার সুযোগ হতো।’
বাংলাদেশের অন্যতম গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া অবশ্য অনলাইন দাবায় আগে থেকেই অভ্যস্ত। কিন্তু তারপরও এশিয়ান জুনিয়র দাবায় সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ২১ জনের মধ্যে হয়েছেন ২০তম। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাহসিন তাজওয়ার জিয়া তেমন ভালো করতে না পারলেও আসরটির ইতিবাচক দিকই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ভালো খেলতে পারিনি। ইন্টারনেট মাঝে মধ্যে সমস্যা করছিল। এই টুর্নামেন্টটি অনেক কঠিনও ছিল। তবে ভারতের জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন অরাধ্য গার্গকে হারিয়েছি। টুর্নামেন্টে এটাই আমার সেরা অর্জন বলতে পারেন। সবমিলিয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতাই হয়েছে।’
আসরে মেয়েদের বিভাগে মূল পর্বে খেলেছেন মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম। হয়েছেন ১৫তম। তবে তার নিজের কম্পিউটার নেই। এক সহপাঠীর বাসায় গিয়ে এশিয়ান জুনিয়র দাবায় অংশ নিয়েছেন তিনি। কষ্ট করে হলেও টুর্নামেন্টে অংশ হতে পেরে খুশি আঞ্জুম, ‘আমার নিজের কম্পিউটার নেই। বান্ধবীর বাসায় গিয়ে খেলতে হয়েছে। প্রথমবার খেলায় কিছুটা ভয়ও কাজ করছিল। ভালোই লেগেছে খেলতে, তবে আরো ভালো করার সুযোগ ছিল। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এই টুর্নামেন্ট থেকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।