যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ঠান্ডা অথবা সর্দি-কাশির সমস্যায় এককাপ চা অবশ্যই আরাম দেয়। প্রায় সবাই প্রতিদিন কম করে হলেও এককাপ হলেও চা পান করেন। আবার অনেকের ধারণা নিয়মিত চা পান করা আসক্তি এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। তবে নিয়মিত চা পানের অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর হতে পারে। এককাপ চা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। এর সঙ্গে কিছু মশলা যদি থাকে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে দ্রæত।
আসলে এমন কোনো পানীয় কিংবা খাবার নেই যা খেলে সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি ধরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক, পুষ্টিকরভাবে খাওয়া। প্রতিদিনের খাবার এবং পানীয়তে সাধারণ কিছু উপাদান যুক্ত করলে তা আপনাকে আরও বেশি সুস্থ রাখতে পারে।
সঠিক উপাদান বাছাই : আপনি যদি সঠিক উপকরণ এবং মশলা যোগ করেন তবে চা স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে একটি হতে পারে। আদা, মধু বা গুড় হোক, বিশেষ উপাদান যুক্ত করলে তা আপনাকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
দুই উপাদান যোগ করুন : চা তৈরি করার সময় এক চিমটি যষ্ঠি মধুর গুঁড়া বা কয়েকটি লবঙ্গ যুক্ত করুন। এই দু’টি উপাদানই বেশ সহজলভ্য। এগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী আর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে। এছাড়াও এই দুই মশলা মেশানো চা ঠান্ডা এবং কাশিসহ অন্যান্য ফ্লুজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এই দুই মশলার উপকারিত অনেক।
যষ্ঠিমধু : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা গুল্ম। কাশি বা সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যষ্টিমধু খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়, কারণ এটি গলা বা শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়। এর অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর জীবাণু নষ্ট করে। হজমের সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকর।
লবঙ্গ : চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে তা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। অনেকেই চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে পান করেন। এটি কেবল চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য শরীরের ভাইরাস-সংক্রমিত কোষগুলো কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারে। শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ আস্ত কিংবা গুঁড়া করে চায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
দিনে কতটা চা পান করতে পারবেন : চা পান করতে যতই ভালোবাসুন না কেন, সেক্ষেত্রে সংযমের কথা ভুলে গেলে চলবে না। কোনোকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় তা সে যতই উপকারী খাবার হোক না কেন। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে চার থেকে ছয় কাপ চা পান করলে সর্বাধিক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই চেষ্টা করুন এর থেকে কম পরিমাণ চা পান করতে। দিনে তিন কাপ পান করলেই যথেষ্ট।
খাবার এবং জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর করুন : স্বাস্থ্যকর চা পানের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার এবং পানীয় রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। একা চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবে না। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান নিয়মিত। সঙ্গে রাখুন মধু মাসের ফল। খাবারের পাশাপাশি নজর দিন ঘুম ও ব্যায়ামের দিকেও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।