মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১০০টির বেশি ফ্লাইটে ১৫ হাজারের বেশি আটকে পড়া আফগান নাগরিককে দেশে ফিরিয়েছে দেশটির সরকার। এক শীর্ষ আফগান কূটনীতিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আমিরাত থেকে বিশেষ ফ্লাইটে যত ভারতীয় ও পাকিস্তানী নাগরিক ফেরত গেছে, আফগানরা ফিরেছে তার চেয়ে বেশি। আবার আমিরাত থেকে যত নাগরিক ফিরে গেছে, তাদের মধ্যে আফগানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান এ পর্যন্ত ১২ হাজার নাগরিককে ফেরত নিয়েছে এবং ভারত ফেরত নিয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ জনকে।
আফগানিস্তানের কনসাল জেনারেল মাসুদ আজিজি বলেন, ‘আরব আমিরাতে আটকে পড়াদের মধ্যে আমরাই প্রথম আমাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছি।’ তিনি জানান, তিনটি এয়ারলাইন্সের বিমানে আফগানরা ফিরছে। এগুলো হলো আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্স, ফ্লাইদুবাই এবং এয়ার অ্যারাবিয়া।
ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি যদিও প্রচার হয়েছে বেশি, তবে আফগানিস্তান অনেকটা নিরবে এবং দক্ষতার সাথে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। আজিজি বলেন, ‘আমরা আটকে পড়া আফগানদের নিবন্ধিত করেছি এবং বিশেষ ফ্লাইটের জন্য তাদের বুকিং নিয়েছি, কিন্তু আমাদের তৎপরতা এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।’ তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আফগানদেরকে সরাসরি ফ্লাইট বুকিংয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে আমাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মসৃণ হয়েছে এবং স্বল্প সময়ে আমরা বেশি নাগরিকদের ফেরত আনতে পেরেছি ‘
কাবুলে অবতরণের পর যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে আজিজি বলেন, যাত্রীদেরকে কোভিড-১৯ এর সাধারণ চেকআপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং এরপরেই কেবল তাদেরকে বাড়ি যেতে দেয়া হবে। তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যাতে তারা নিজেদের বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকেন।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আরব আমিরাত সরকার যে সব সহায়তা করছে, সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদও জানান আজিজি। আফগানিস্তানের জন্য দরকারী সহায়তা দেয়ার কারণে আমিরাতের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদও জানান তিনি। তিনি বলেন যে, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় আফগানিস্তানকে সহায়তা করার জন্য আরব আমিরাত এ পর্যন্ত দুইবার ত্রাণ প্যাকেজ পাঠিয়েছে। আমিরাত গত সপ্তাহে একটি বিমান পাঠায় যেখানে আফগানিস্তানের জন্য সাত মেট্রিক টন মেডিকেল সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। এই সরঞ্জামগুলো প্রায় সাত হাজার মেডিকেল কর্মীকে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চে আরব আমিরাত আফগানিস্তানে জরুরি মেডিকেল সরঞ্জামাদি পাঠিয়েছিল, যেখানে ২০ হাজার টেস্টিং ইউনিট ও সরঞ্জামাদি ছিল, যেগুলো দিয়ে বহু হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা সম্ভব। সূত্র: গালফ নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।