মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানে সাথে শাস্তিপূর্ণ ক‚টনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হলে দেশটিতে হামলা চালাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সদস্য এবং জয়েন্ট স্টাফ ডিপার্টমেন্টের প্রধান জেনারেল লি জুয়োচেং গত শুক্রবার জানান যে, তাইওয়ানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘পুনরায় একত্রীকরণের শান্তিপূর্ণ সম্ভাবনা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে চীনা সশস্ত্র বাহিনী তাইওয়ানের জনগণসহ পুরো জাতিকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্রান্ত বা পদক্ষেপ গুঁড়িয়ে দিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।’
বিচ্ছিন্নতাবিরোধী আইনের ১৫তম বার্ষিকীতে দেয়া ভাষণে চীনা সামরিক বাহিনীর এই কর্মকর্তা তাইওয়ানের স্বাধীনতার চেষ্টা নিয়ে কথা বলেন। তাইওয়ান স্বাধীন হতে চাইলে অথবা তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে চীনা সামরিক বাহিনী বলপ্রয়োগ করে সেসব চেষ্টা থামিয়ে দিতে পারবে বলে আইনটিতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আইন চীনের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া নিন্দা ও সমালোচনা ঝড় মধ্যেই স্বাধীনতার দাবিতে অনড় তাইওয়ানকে এই হুমকি দিলো চীন। জুয়োচেং বলেন, ‘বলপ্রয়োগ করা হবে না বলে কখনো আমরা প্রতিশ্রুতি দিইনি। তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পথ খোলা আছে।’
গণতান্ত্রিক তাইওয়ান চীনের সবচেয়ে স্পর্শকাতর আঞ্চলিক ইস্যু। দেশটিতে ২য় বারের মতো নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাই ইং ওয়েং। চীন থেকে তাইওয়ানকে আলাদা করার চেষ্টা করলে ফল ভোগ করতে হবে বলে তাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছে চীন। চীন মনে করে, তাইওয়ান তাদের একটি প্রদেশ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০০৫ সালের আইন অনুসারে চীন চাইলে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে পারে।
এদিকে, হংকংয়ের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চীনের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর স্বায়ত্ত্বশাসিত এঅঞ্চল আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলবাহিনীর সংঘাত চলছে। লাদাখ নিয়েও ভারতের সঙ্গে উত্বেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে চীন। এমনকি এভারেস্ট নিয়েও নেপালের সঙ্গে দ্ব›েদ্ব লিপ্ত রয়েছে দেশটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।