Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে অব্যহতি

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১০ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা অসহায় দুঃস্থ নারী আতরজানকে (৯০) মৃত দেখিয়ে ইউপি সদস্যের চাল উত্তোলনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ১০ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা অসহায় দুঃস্থ মহিলাকে মৃত দেখিয়ে স্বজনের নাম প্রতিস্থাপন করে চাল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে স্বজনের নাম তালিকাভ‚ক্ত করায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী। জানা যায়, ২০১৬ সালে সারা দেশের ন্যায় দৌলতপুর উপজেলার ১০ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির তালিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। উক্ত তালিকা অনুযায়ী বছরে ৫ বার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল ১৯৩ জন পরিবারের মধ্যে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় দৌলতখালী গ্রামের স্বামী সন্তান হারা অসহায় বৃদ্ধা আতরজান ১০১ নম্বর কার্ডধারী হিসেবে অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয়। কার্ড অনুযায়ী তাকে নিয়মিত চালও দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে চলতি মে মাসে দৌলতপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত নতুন সুবিধাভোগীদের নামের তালিকায় আতরজান কে মৃত দেখিয়ে ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মুক্তার হোসেন এর স্বজন আমিরুল, পিতা আয়তাল এর নাম প্রতিস্থাপিত করে তাকে চাল দেওয়া হয়েছে।
নাম কেটে দেওয়ার ব্যাপারে বৃদ্ধা আতরজান ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলেন, চাল নিতে গেলে আমি মরে গেছি বলে আমাকে চাল না দিয়ে অন্য জনকে চাল দিয়েছে বলে তিনি কেঁদে ফেলেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউল ইসলাম মহি জানান, যেহেতু আতরজান জীবিত সেহেতু পুনরায় তার নাম যাতে করে তালিকায় অর্ন্তভ‚ক্ত করা হয় সে ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ঐ বৃদ্ধার বাড়ি তৈরির জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর ইউপি সদস্য সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

Show all comments
  • Sukanta Roy ৩০ মে, ২০২০, ১০:৪৪ এএম says : 0
    The chairman told, "As the woman is alive the chairman will try to arrange to enter her name in the list", this type of chairman should not be alive in Bangladesh. He should be extremely sorry, apologize to the public after entering her name in the list and ensure the punishment the person involved, no need of any inquiry, it is a fact and person involved is in record.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ