মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের তরুণদের প্রবল বিক্ষোভ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার মুখে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা আইন বিষয়ে চীনের পার্লামেন্টে একটি বিল পাশ হয়েছে।চীনের পার্লামেন্টের ২ হাজার ৮৭৮ জন আইন প্রণেতা বিলটির খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে একজন বিপক্ষে ভোট দেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ জন। -সিএনএন, বিবিসি, ফক্স নিউজ
হংকংয়ের তরুণরা এ বিলকে বিতর্কিত অভিহিত কয়েকদিন ধরে তীব্র বিক্ষোভ করছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে হংকংয়ের কোনো ধরনের বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ ঠেকাতে এই জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করা হয়েছে।
হংকংয়ে সরাসরি নিরাপত্তা আইন জারির বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই আইনটির পরিকল্পনা অনুমোদনের ঠিক একদিন আগে বুধবার হংকংকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, চীন হংকংকে ন্যুনতম স্বায়ত্তশাসনের সুবিধাও দিচ্ছে না। বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, চীন হংকংয়ের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন খর্বের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় নগরটি আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের কাছে থেকে চীনের অধীনে যাওয়ার পর এ সুবিধা পাচ্ছিল হংকং।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার টুইটে এ বিল পাশের উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, হংকংয়ের পাশে যুক্তরাষ্ট্র দাঁড়িয়েছে। কার্যত হংকংয়ে স্বায়ত্তশাসন নেই। তাই আর যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিশেষ মর্যাদা আর দেয়া হবে না।
পম্পেওর এধরনের বক্তব্য ও চীনের পার্লামেন্টে হংকংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিল পা শে র পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্য বিরোধ আরো তীব্র হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। বন্ধ হয়ে যেতে পারে দুদেশের মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি তে ।
মুখে মাস্ক পড়ে হংকংয়ের তরুণরা রাস্তায় নেমে আসলেও পুলিশ তাদের কঠোরভাবে বাধা দিচ্ছে। টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী নেতারা বলছে এ বিল আইনে পরিণত হলে স্বায়ত্তশাসন বলে কিছু থাকবে না। নাগরিক অধিকার খর্ব হবে চরমভাবে ।
হংকংয়ে চীনের ‘ এক দেশ , দুই ব্যবস্থা ’ নীতি এখন মৃত এমন প্লাকার্ড হাতে শোভা পাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের হাতে। ৭৪ লাখ বাসিন্দার হংকংয়ে নেতা নির্বাচন করেন ১২শ জনের একটি কমিটি ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।