বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনায় রঙিন ঈদ উদযাপিত হয়েছে চাঁদপুর শিশু পরিবারে। বৈশ্বিক মহামারীর সাথে মানিয়ে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রায় দেড়শ শিশু সোমবার চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারে ঈদ উদযাপন করছে।
পরিবার পরিজন ছাড়া চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকার শিশু পরিবারে সারাবছর একসঙ্গে থাকে।
সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে শিশু পরিবারে দেখা যায়, শিশুরা নতুন জামাকাপড় পড়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে।
শিশুরা জানায়, কর্তৃপক্ষ তাদের সবাইকে ঈদ উপলক্ষে সকালে ঈদের সেমাই, রুটি আর চটপটি দিয়েছে। দুপুরে ও রাতে তাদের জন্য রয়েছে ভালমানের খাবার। আয়োজন করা হয়েছে নাচ, গান আর খেলাধুলারও।
শিশু পরিবারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া কাকলি আক্তার জানায়, তার মা-বাবা দুজনই বেঁচে আছে। কিন্তু তারা বিচ্ছিন্ন। এজন্য তাকে আশ্রয় নিতে হয়েছে শিশু পরিবারে। শিশু পরিবারের সালমা ও জান্নাত জানায়, করোনার এই সময়ে তারা শিশু পরিবারে ভালোই আছে। গত তিন মাস ধরে একসাথে থাকলেও তাদের কাউকে করোনার ভয় ছুঁতে পারেনি।
শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক শামছুন্নাহার বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যখন দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে তখন আমাদের শিশু পরিবার খোলা ছিল। শিশু পরিবারের প্রায় সবাই শিশু পরিবারেই আছে। এতে করে কারও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এ সময় তারা বাইরের কাউকেই ভেতরে আসার ব্যাপারে প্রশ্রয় দেননি।
তিনি জানান, শিশু পরিবারে ১৬৫জন শিশুর জায়গায় বর্তমানে রয়েছে ১৪২ জন। ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে সবাইকে নতুন জামাকাপড় দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের আনন্দ দিতে, তাদের জন্য নাচ, গান ও খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সময় তাদের বাড়ি যেতে দিলে তারা থাকা ও খাওয়ার কষ্টে থাকত। তাছাড়া করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারতো। এখানে এ পর্যন্ত তারা নিরাপদে ও সুস্থ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।