Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্ক সমর্থিত লিবিয়া বাহিনীর হাতে বিদ্রোহীদের বিমান প্রতিরক্ষা ধ্বংস

হাফতারের মিত্রশক্তির যুদ্ধ বিরতির আহবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

লিবিয়ার বিদ্রোহী দল জেনারেল খালিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি-এলএনএ’র কাছ থেকে দেশটির রাজধানীর উপকণ্ঠের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট ন্যাশনাল অ্যাকর্ড-জিএনএ সরকারের অনুগত সেনারা। ত্রিপোলির জাতীয় জোট সরকারের সেনাবাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের মোতায়েন করা রাশিয়ার তৈরি প্যান্টসির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়। হাফতারকে এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এটিকে বিদ্রোহী জেনারেলের মনোবল ভেঙে দেয়ার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছে সরকারী বাহিনী। সরকারী বাহিনী সম্প্রতি ‹অপারেশন ভলকানো অফ অ্যাঙ্গার›র মাধ্যমে খলিফা হাফতারের মিলিশিয়াদের দখল থেকে বেশ কিছু শহরকে মুক্ত করে। ফেসবুকে একটি বিবৃতিতে তারা পোস্ট করেছে, ‘আমাদের বীর বাহিনী বদর ও তিজি (বাতেন আল-দাজাবাল আল-গার্বির পৌরসভা) শহরে প্রবেশ করেছে এবং সেখানকার লোকজন তাদের প্রশংসা এবং শুভেচ্ছার মাধ্যরম উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে।’ গত সোমবার হাফতারের দখলে থাকা ত্রিপোলির ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আল-ওয়াতিয়া বিমান ঘাঁটিটি মুক্ত করতে অভিযান চালায় লিবিয়া সরকার। এদিকে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার হাফতারের সমর্থক সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ও চলমান সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য পৃথকভাবে আহবান জানিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে হাফতারের মিত্রবাহিনী পিছু হটতে শুরু করেছে। তার সমর্থকদের যুদ্ধ বিরতির ডাক ও রাজনৈতিক সমাথানের পথে হাঁটার ফলে মিত্রবাহিনীর সহযোহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাফতারের দল এলএনএ’র জন্য পূর্বাঞ্চল থেকে আসা সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থার উপর বারবার হামলার দাবি করা তুরস্কের ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে লিবিয়া সরকারে এই অগ্রযাত্রায় মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বুধবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, ‘তুর্কি প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের ফলে লিবিয়ার ভারসাম্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।’ ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। তাদের জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিএনএ’র কর্তৃত্ব থাকলেও প‚র্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ’র দখলে রয়ে গেছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে হাফতার বাহিনী লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। প্রায় ৫ বছর ধরে লিবিয়ায় ২ টি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ, তুরস্ক, ইতালি ও যুক্তরাজ্য এ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ