Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ‘আগ্রাসন’ নিয়ে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

নেপালের নতুন মানচিত্র নিয়ে প্রতিবাদ দিল্লির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

ভারতের সাথে সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা ‘আগ্রাসনে’র বিষয়ে ভারতকে সতর্ক থাকতে বলেছে ও প্রতিরোধ করতে উৎসাহ দিয়েছে। এদিকে, ভারতের সাথে সীমান্তের তিনটি বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপালের তৈরি নতুন মানচিত্র নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন ক‚টনীতিক অ্যালিস ওয়েলস বিতর্কিত সীমান্তে চীনের সৈন্য বৃদ্ধি ও দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের শক্তি বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে মনে করছেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে তিনি বলেন, ‘যারা মনে করে যে, চীনা আগ্রাসন কেবল তাদের বিরুদ্ধে অপ্রচার, আমি মনে করি তাদের ভারতের সাথে কথা বলা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘যদি আপনি দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে তাকান, তবে দেখবেন সেখানে চীনা অপারেশনগুলির একটি পদ্ধতি রয়েছে এবং স্থিতিশীল অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য তারা নিয়মিত আগ্রাসন চালায় ও উস্কানি দেয়।’ চীন নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধির দাবি, দক্ষিণ চীন হোক বা ভারতের চীন সীমান্ত, চীনের আগ্রাসন সবসময় নেপথ্য বার্তা বহন করেছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে চীন কীভাবে নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি জানান, আফগানিস্তান নিয়েও ভারতের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে আগামীদিনে প্রশাসকের ভূমিকায় তালিবান আসতে চলেছে। এদিকে, তালিবানের সঙ্গে যাতে ভারতের সম্পর্ক উন্নত হয় ও আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের সরকারের সঙ্গেও যাতে ভারতের সম্পর্ক সুস্থির হয়, তার চেষ্টা করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এই দুটি দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে ১৯৬২ সালে যুদ্ধও হয়েছে। চীন এখনও নয়াদিল্লির নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় ৯০ হাজার (৩৫ হাজার বর্গমাইল) অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে। এদিকে, নেপালের তৈরি নতুন মানচিত্র নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘নেপাল একতরফা ভাবে ইতিহাসের তথ্যপ্রমাণের পরিপন্থী এই মানচিত্র বানিয়েছে। এটা দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার বিরোধী। ভারত তা মেনে নেবে না।’ গত বুধবার ভারতের পিথোরগড়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, কালাপানি এলাকা ভারতীয় ভূখন্ডে মধ্যে পড়ে। নেপালের পাল্টা দাবি, এই এলাকা তাদের ধারচুলা জেলার মধ্যে। ভারত মনে করছে, ভারত-নেপাল সীমান্তের তিনটি বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে নেপালের মানচিত্র প্রকাশ করার ঘটনার পিছনে চীনের পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার এক ধাপ এগিয়ে ভারত থেকে করোনাভাইরাস আসার অভিযোগও তুলেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। সূত্রের মতে, সব মিলিয়ে তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মহামারি সামাল দেয়ার পাশাপাশি নেপালকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে ভারতকে। ওলির বক্তব্য, ‘যারা ভারত থেকে বেআইনি ভাবে আসছে, তারা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এখানকার কিছু স্থানীয় প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে ভারত থেকে ঠিক মতো পরীক্ষা ছাড়াই লোক আসছে। চীন বা ইটালির থেকেও ভারতের ভাইরাস বেশি মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে। এএফপি, ডেকান ক্রনিকলস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ