মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ৫ মে চীনের হেনান প্রদেশের ওয়েনচ্যাং মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে দ্য লং মার্চ-৫বি ক্যারিয়ার রকেটটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। দ্য লং মার্চ-৫বি যানের এটাই প্রথম কোনো মিশন ছিল। এটি লম্বায় ৫৩ দশমিক ৭ মিটার, আর ওজন হবে ৮৪৯ টন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করার পর এটি সোমবার পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করেছে। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং এটি পুরোপুরি ভস্মীভূত না-ও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ফোর্বসের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা রকেটটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে পড়বে বলে ধারণা করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
মহাকাশ থেকে পরিত্যক্ত স্যাটেলাইট বা রকেটের টুকরো (স্পেস জাঙ্ক) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসাটা নতুন কিছু নয়। তবে বেশিরভাগ সময়ই সেগুলো আকাশে থাকতেই পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়, মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে খুব কমই।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর ধারণা, রকেটের টুকরোটির যতটুকু অংশ পুড়ে অবশিষ্ট রয়েছে তা পশ্চিম আফ্রিকার কাছাকাছি আটলান্টিক মহাসাগরের কোথাও পড়েছে। তারা গত কয়েকদিন ধরেই প্রায় ৩৭ হাজার পাউন্ড ওজনের রকেটটির গতিবিধি অনুসরণ করছিলেন। তবে সেটির অবস্থান নির্ণয় যথেষ্ট কঠিন ছিল। এটি ঘণ্টায় কয়েক হাজার মাইল বেগে ভূপৃষ্ঠের দিকে ধেয়ে আসছিল। বায়ুমণ্ডলে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার পর স্পেস জাঙ্কগুলো শত শত মাইল দূরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে পারে।
হার্ভার্ড জ্যোতির্বিজ্ঞানীজোনাথন ম্যাকডোয়েল টুইটারে লিখেছেন, যদি এটি ভস্মীভূত না হয় তাহলে ১৯৯১ সালের সালিয়ট-৭ এর পরে মহাকাশযানের সবচেয়ে বড় ধ্বংসাবশেষ প্রথিবীতে আছড়ে পড়বে।
২০১৮ সালে চীনের টিয়াংগং-১ নামে এই মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটির ধ্বংসাবশেষ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দ্য লং মার্চ-৫বি যান আকারে এর থেকেও বড়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।