মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরব বিশ্বের পর এবার কানাডা ক্ষেপেছে মুসলিম বিদ্বেষী ভারতীয়দের উপর। ইসলাম ধর্মবিরোধী পোস্ট করে অনেকের মতো বিপাকে পড়লেন রবি হুড়া নামে ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। যে সংস্থায় তিনি চাকরি করতেন, সেখান থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।–আনন্দবাজার, দ্য প্রিন্ট
ঘটনার সূত্রপাত কানাডায় সম্প্রতি একটি আইন পরিবর্তন ঘিরে। এত দিন পর্যন্ত শব্দদূষণ আইনে শুধুমাত্র গির্জার ঘণ্টা বাজানোয় ছাড় ছিল। সম্প্রতি সেটা পরিবর্তন করে তার সঙ্গে ইসলাম-সহ সব ধর্মকেই যোগ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে শব্দবিধি মেনে আজান দেওয়া যাবে। ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন টুইটারে লেখেন, ‘‘১৯৮৪ সালে চালু হওয়া শব্দবিধি অনুসারে গির্জার ঘণ্টা বাজানোয় ছাড় দেওয়া ছিল। তার সঙ্গে এ বার নির্দিষ্ট সময় ও ডেসিবেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সব ধর্মকেই এই রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন সূর্যাস্তের আজান দিতে পারবেন। কারণ, আমরা এখন ২০২০ সালে বসবাস করছি এবং সব ধর্মকেই সমান ভাবে মর্যাদা দেওয়া উচিত।’’ মেয়রের এই সংক্রান্ত টুইটের নিচে রবি হুড়া নামে এক ভারতীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্ট আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি লিখেন, ‘এরপর কী আসবে? ছাগল ও দুম্বা সওয়ারীদের জন্য আলাদা লেন করা হবে? ত্যাগের নামে প্রাণি জবাই করতে দেওয়া হবে? সামান্য ক’টা ভোটের জন্য আইন করে মেয়েদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে বাধ্য করা হবে?’
ইসলামবিদ্বেষী এ লোকটি ধরতেই পারেনি যে আগে থেকেই এই ব্যতিক্রম খ্রিস্টান গির্জার ঘণ্টার জন্য প্রযোজ্য ছিল। আর এখন খ্রিস্টান, ইসলাম সহ সব ধর্মের প্রার্থনালয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে। এই ব্যক্তি বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিল যে, তিনি ভারতে নয়, কানাডায় থাকছেন। ভারতে হলে হয়তো এই মন্তব্যের জন্য হাজার লাইক আর রিটুইট পেতেন। কিন্তু কানাডায় সেই সুযোগ নেই। খুব দ্রুতই উচিৎ শিক্ষা পেয়েছেন ভদ্রলোক।
পরে টুইট ডিলেট করে দেন রবি হুড়া নামে ওই লোক। কিন্তু তার আগেই অনেক টুইটার ব্যবহারকারী তার ওই টুইটের সমালোচনা করেন। কানাডার অ্যান্টি-হেইট নেটওয়ার্ক ওই টুইট শেয়ার করে কড়া সমালোচনা করে। খুব দ্রুতই যেই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জন্য তিনি কাজ করতেন, তারা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে।
কানাডার একটি স্কুলের পরিচালন বোর্ডে ছিলেন তিনি। কর্তৃপক্ষ রবি হুড়াকে সরিয়ে দিয়েছে সেই বোর্ড থেকেও। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে নজিরবিহীন মাত্রায় ইসলামবিদ্বেষ ও মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার চাষাবাদ হয়েছে। কিন্তু পরিণতিতে কোনো ফল ভোগ করতে হয়নি তাদের কাউকে। এই গোঁড়ামি আর ভারতেই সীমাবদ্ধ নেই। সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ঘৃণা প্রদর্শন করেছেন ভারতীয়রা। তবে দেশে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি ও সরকারের প্রচ্ছন্ন আশকারায় বিনা বাধায় এই ঘৃণার চর্চা করে গেছে উগ্রবাদীরা। কিন্তু বিদেশে বসবাসরত ঘৃণাজীবী ভারতীয়রা মাশুল দিতে শুরু করেছেন। প্রথমে উপসাগরীয় দেশ, আর এখন কানাডা চটেছে ওই ভারতীয়দের ওপর।
দ্য প্রিন্টের খবরে আরো বলা হয়, উপসাগরীয় দেশগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ভারতীয় প্রবাসীরা চিহ্নিত হয়েছেন। এমনকি চাকরি হারিয়েছেন। এবার কানাডাও একই পথে হাঁটছে। একই ধরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে। ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টের জন্য ভারতীয়দের চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।