Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে নিখোঁজের ১৪ মাস পর মাটি খুরতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কঙ্কাল

তদন্তে ধীরগতিতে ক্ষোভ

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২০, ১১:১৫ এএম

নিখোঁজের ১৪ মাসেও শেরপুরের নিখোঁজ স্কুল ছাত্র আতিককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ বা পিবিআই। তারা না পারলেও মাটি খুরতে গিয়ে মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে পড়ে আতিকের মরদেহের কঙ্কাল। শেরপুরে নিখোঁজের ১৪ মাস পর মাটির নীচ থেকে আতিক নামে ১২ বছরের ওই শিশুর কঙ্কাল ৫ মে দুপুরে সদর উপজেলার বলাইয়ের চড় কান্দাপাড়া অভিযুক্ত বাবুলের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে উদ্ধার করা হয়।

শিশু আতিকের পরিবারের স্বজনদর অভিযোগ, প্রতিবেশী বাবুলের একটি লেবুর ক্ষেত এগ্রিমেন্ট নিয়ে আতিকের বাবা আ: লতিফ লেবুর চাষ করে আসছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই লেবুর ক্ষেত ছাড়িয়ে নিতে চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এরই জের ধরে লতিফ মিয়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলে আতিক গত বছরের ২২ ফেব্রæয়ারী বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায় বাবুল ও তার স্ত্রী। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয় আতিক। নিখোঁজের পরে তার বাবা শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে পুলিশ ছেলেকে উদ্ধার করতে না পারলে গেল বছরের ৭ এপ্রিল লতিফের প্রতিবেশী বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রীকে আসামী করে আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন আতিকে পিতা। পুলিশ মামলাটির কোন অগ্রগতি করতে না পারলে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে পিবিআই মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। আসামী বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে বাবুল মিয়া ছাড়া বাকী আসামীরা জামিনে আছে। কিন্তু অপহৃত আতিককে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন তারা। ঘটনার পর বাড়ী ভেঙ্গে ফেলায় ওই বাড়ীর মাটি খুড়ে নেয়ার সময় সন্ধান মেলে আতিকের মরদেহের কঙ্কাল। এতে আতিকের পরিবারের অভিযোগ তারা কোথাও সঠিক বিচার পায়নি। তারা আতিকের খুনিদের ফাঁসি দাবী করেন।

আতিকের বাবা এঘটনায় যেসব আসামী এখন জামিনে আছে, আর যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী করেন।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসীও বেশ ক্ষুব্ধ। তারা এ ধরনের জঘন্য হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
সে ছাত্র হিসেবেও ভাল ছিল। জানালেন, তার স্কুল শিক্ষকরা। তারাও এহত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি।

আজ কঙ্কালটির ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা সরকার বাবলী জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, অনেকদিন থেকে আমরা এই মামলাটির তদন্ত করছিলাম। আমরা অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারিনাই। যেভাবেই হোক ভিক্টিমের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কঙ্কাল উদ্ধারে সাথে সাথেই দুজনকে আটক করেছি। কারা এই কাজে জড়িত এদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যহত আছে।
এদিকে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির তদন্তে ধীরগতিতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ ও ঘটনাটির দ্রæত তদন্ত শেষ করে বিচার কাজ শুরুর দাবী এলাকাবাসীরও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কঙ্কাল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ