Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানবাধিকার উন্নয়নে যেসব বিধান বাতিল করলেন সউদী যুবরাজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৪ পিএম | আপডেট : ২:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

দোররা (চাবুক) মারা নিষিদ্ধ করার একদিন পর রোববার কিশোর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধানও বাতিল করল সৌদি আরব। বাদশাহ সালমানের জারি করা ডিক্রিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সউদী আরবের রাষ্ট্র পরিচালিত মানবাধিকার সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য জানিয়েছে।

কমিশন জানায়, নতুন এই আইন সংস্কারের ফলে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না। এমনকি ১০ বছরের বেশি কারাভোগ করতে হবে না কিশোর অপরাধীদের- এমনটাই জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান আওয়াদ আল আওয়াদ।

সৌদি রাজ পরিবারের এই পদক্ষেপ দেশটির আইন সংস্কারের পথকে আরও এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সৌদি আরবের মানবাধিকারের রেকর্ড বেশ খারাপ। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশ করা তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। ইরান ও চীনের পরেই তাদের অবস্থান। ২০১৯ সালে দেশটিতে ১৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। ১৮ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুদণ্ড দিলে তা জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেশনের লঙ্ঘন, যা এতদিন করে এসেছে সৌদিআরব।

আওয়াদ আল আওয়াদ মনে করেন, দেশটিতে অপরাধ আইনকে উন্নত করতে সাহায্য করবে এই ডিক্রি। দেশের সব ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সৌদি রাজ পরিবারের যে অঙ্গীকার, এটি তার প্রতিফলন বলেও জানান তিনি।

নতুন এই আইনের ফলে জেলে থাকা ছয়জন শিয়া ধর্মাবলম্বী কিশোর মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

দেশকে আধুনিকায়ন করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বেশ কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করেছেন। শনিবার দেশটির মানবাধিকার কমিশন দোররা মারা নিষিদ্ধ করার কথা জানায়। এর পরিবর্তে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এইসব সংস্কার সত্ত্বেও এখনও সৌদি আরবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, চুরি করলে হাত কেটে ফেলার মতো শাস্তি এখনও দেয়া হয়।

এছাড়া দেশটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে বরাবরই অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। বিরোধী ও সমাজকর্মীদের কঠোর চাপের মুখে থাকতে হয় দেশটিতে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে



 

Show all comments
  • Shahidul islam ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২৩ পিএম says : 0
    any on can sey world human right and Islamic are same ? World's justice and islamic justice are same.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Josim ১ মে, ২০২০, ৯:০৬ এএম says : 0
    যুক্তরাস্ট্র যখন মুসলিম শিশুদেরকে মারে তখন মানবাধিকার বিরোধি হয় না
    Total Reply(2) Reply
  • jack ali ১ মে, ২০২০, ১২:০০ পিএম says : 0
    May Allah wipe out this Iblees salman by coronavirus from Saudi Arabia and install a Muslim ruler who will rule by the Law of Allah
    Total Reply(0) Reply
  • Nurujjaman Hossain ২ মে, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
    The "Human Rights Organisation" should change Its name to "Criminal Rights Organisation"
    Total Reply(0) Reply
  • omor faruk ৩ মে, ২০২০, ৭:৩৪ পিএম says : 0
    মোহাম্মদ বীন সালমান এয়াজিদের প্রেতাত্মা । জাতিসংঘ চুল কামায় ? যে সময় আমার ফিলিস্তিনের ও ইরাকের এবং সিরিয়ার নিশ্চপাপ সন্তানদের হত্যাকরা হয় । এই সংকটে এই দুর্যোগে চাইনা কোন যুক্তি চাই শুধু আল্লামা সাঈদীর মুক্তি। #FreeSayedee #SaveBangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammd Hossain Reza Quderi ৫ মে, ২০২০, ১১:১৪ এএম says : 0
    ইসলামি আইন বাস্তবায়নে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মানবাধিকার নিহিত রয়েছে।যুবরাজ আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা না করে ধ্বংসের মুখোমুখি হবে নিশ্চিত!
    Total Reply(0) Reply
  • borhan ৮ মে, ২০২০, ১২:৩৮ পিএম says : 0
    If you respect holy Al Quran, you will benefited..... This is the time have come for you.... Please do honestly and believe Almighty Allah
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ismail sheikh ২২ জুন, ২০২০, ১২:২১ এএম says : 0
    মানুষ রচিত আইনদিয়ে মানুষ কখনোই সঠিকপথে পরিচালনা করা যাবেনা। আমি উদাহরণ সরুপ বলি সেটা হলো যেকোনো একটা কিছু যে কেউ তৌরি করে একমাত্র সেই ভালো যানে সেটা কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তাই আমি বলি সুনুন মানুষ বানিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা তাই তিনিই যানেন আমাদের উপর কি চালালে আমরা ভালোবাবে চলবো। তাই যারা আল্লাহর আইন না মেনে মানুষ রচিত আইন মানে সে অবশ্যই কুফরি করেছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ