প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশের সিনেমার গানে অর্থাৎ প্লে-ব্যাকে দীর্ঘ একটি সময় বলা যায় একাই আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী কনকচাঁপা। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের বিপর্যস্ত এই অবস্থায় এখন বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। দিন দিন বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নিজেকে করোনা থেকে নিরাপদে রাখার জন্য সরকারী নির্দেশ মেনে স্বামী, সন্তান নিয়ে দীর্ঘ একমাস যাবত রাজধানীর শান্তিনগরে নিজগৃহে নিরাপদে অবস্থান করছেন কনকচাঁপা। কিন্তু প্রায়শই মায়ের জন্যও মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠে। কারণ তার মা থাকেন রাজধানীর মাদারটেকে। চাইলেই এখন আর সেখানে যেতে পারছেন না তিনি। আবার এই দেশের সাধারণ মানুষের কথা মনে করেও এক চাপা কষ্টে আছেন তিনি। কনকাচাঁপা করোনার আগামীদিনের ভয়াবহতা নিয়ে দেশের মধ্যে দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নজরদারির বিশেষ আহবান করেছেন। কনকচাঁপা বলেন,‘ এই মহামারী করোনার পরে পৃথিবীতে কি অবস্থা দাঁড়াবে তা ভাবাই যায়না। সত্তর দশকের দুর্ভিক্ষ খুব ছোট ছিলাম বলে কিছু বুঝিনি কিন্তু একটু একটু মনে আছে। মানুষ ভাত রেঁধে তার ফ্যান বা মাড় রেখে দিতো দরিদ্রদের জন্য। চাল বেঁছে খুঁদ রেখে দিতো তাদের জন্য। কারণ নিজের পাতে থেকে খাবার দেয়ার মতো বাড়তি খাবার কারো ছিলো না। আমার বিশ্বাস আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সত্যিকার সদিচ্ছা থাকা সত্বেও চালচোরের জ্বালায় সব মানুষ সঠিক ভাবে সাহায্য পাবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে তিনি যদি মায়ের মমতা দিয়ে আরও কঠিন ভাবে নজরদারি করেন তবে ইনশাআল্লাহ দুর্ভিক্ষ হবেনা। আমার মন বলছে তিনি এটা শক্ত হাতেই করবেন। আর যদি তাই হয় তাহলে দুর্ভিক্ষ থেকে আমরা রক্ষা পাবো।’ কনকচাঁপা তার পরিবারের এবং আশেপাশের মানুষের তথা পুরো সমাজের স্বার্থে একমাস আগেই পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে হাতে কলমে মানুষকে খাদ্য সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে পারেননি তবে তিনি একটি এ্যাপের মাধ্যমে কয়েকটি অর্গানাইজেশনের সাথে এবং কিছু মানুষ যারা হাত পাততে পারছেনা সামাজিক লজ্জায় তাঁদের পাশে তারই সাধ্যমতো নীরবে দাঁড়িয়েছেন। কনকচাঁপা আরো বলেন,‘ শুধু সরকারের দিকে চেয়ে বসে না থেকে নিরবে সরবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুরু করুন। দান করে ছবি দিলে কোন অসুবিধা নাই কারণ আপনার দানে সহায়তায় অন্য কোন অলস ধনীর ইচ্ছা জাগতে পারে। এই ইচ্ছা জাগিয়ে তুলতে পারাই একজন চেঞ্জমেকারের কাজ। ভেবে দেখুন আপনি উপর তলা থেকে যেভাবে দুনিয়া দেখেন আর নীচে থেকে যাদের দুনিয়া দেখতে উপরে তাকাতে হয় তাদের সাথে আপনার তফাতের পিলার আদৌ কতটুকু মজবুত। সে তফাত আসলেই বালির বাঁধের মত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।