মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উহানে মৃতের সংখ্যা গণনায় ভুল হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিল চীনের উহান প্রশাসন। এ বার তা নিয়ে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাদের দাবি, বৈশ্বিক মহামারির এই সময়ে মৃতের সংখ্যা ঠিকঠাক গোনাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। হু-এর আশঙ্কা, অনেক দেশই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে হু-এর টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কার্কহোভ বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে কোনও দেশের সমস্ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিক ভাবে গোনাটাই আপনার কাছে চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, বহু দেশই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। যেখানে আবার তাদের পুরনো রেকর্ড ঘাঁটতে হবে এবং প্রশ্ন জাগাবে, আমরা কি সব নাম নথিবদ্ধ করলাম?’ চীনকে সমর্থন করেই কার্কহোভের দাবি, কোনও ফারাক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই উহান প্রশাসন তাদের নথিপত্রের পুনর্মূল্যায়ন করেছে।
শুক্রবারই উহান প্রশাসন জানায় যে, মৃতের সংখ্যা গণনায় তাদের ভুল হয়েছে। সরকারি ভাবে যত জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছিল, আদতে সে সংখ্যাটা তার চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। উহানে করোনা সংক্রমণে আরও ১ হাজার ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৯ জন। উহানে মৃত্যু বাড়ার জন্য গোটা চীনেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জন।
শুক্রবার চীনের ওই খবর প্রকাশ্যে আসার পর পরেই, এই মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণ নিয়ে বেইজিংয়ের দিকে আগেই আঙুল তুলেছে আমেরিকা। সেইসঙ্গে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগও উঠছিল। সব মিলিয়ে বেইজিংয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্কটা জিইয়ে ছিল। এই আবহেই শুক্রবার উহান প্রশাসনের দাবি সেই বিতর্কের আগুনে যেন ঘি ঢেলে দেয়।
যদিও কার্কহোভ যুক্তি দিয়েছেন, উহানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেসে গিয়েছিল। কিছু রোগীর বাড়িতেও মৃত্যু হয়েছিল। বাকিদের অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের চিকিৎসায় যে সব ডাক্তাররা নিযুক্ত ছিলেন তারা তাড়াহুড়োয় ওই সব রোগীদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি। সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে সব দেশকেই সতর্ক করে দিয়েছেন হু-এর আর এক কর্তা মাইকেল রায়ান। তিনি বলেন, ‘সব দেশেই এমন পরিস্থিতি আসতে পারে। কিন্তু এর প্রভাব কতটা পড়ছে, এটাতেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এই পদক্ষেপই আমাদের করোনা নিয়ে আরও নির্ভুল ভাবে এগতে সাহায্য করবে।’ সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।