Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেনীতে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছে পিতা

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৩:১১ পিএম

ফেনীর পৌরসভার বারাহীপুরে ফেইসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে জবাই করে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আটককৃত মেয়ের জামাই খুনি ওভায়দুল হক টুটুলের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছে তাহামিনার পিতা সাহাব উদ্দিন। 

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার(তদন্ত)ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, বাদী নিহত তাহামিনার বাবা সাহাব উদ্দিন মেয়ের স্বামী টুটুলকে একমাত্র আসামী করে থানায় একটি হত্যামামলার এজহার দায়ের করেছেন। এটি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। তাহামিনার স্বামী ফেইসবুকে লাইভে এসে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেছে এরকম একটি ভিড়িও ফুটেজ দিয়েছে সেটি তার মোবাইলে আপলোড হয়েছে কিনা সেটি আমরা সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করে মামলার তদন্তের স্বার্থে এটি ডকেটে সংযোগ করব। তাকে আমরা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত করেছি। আপাতত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী চলছে।
এদিকে তাহামিনার বাবা সাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে তারা দুইজন। চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতো আমার মেয়ে। বিয়ের পর টুটুলের পরিবার তাদের মেনে নেয়নি। দেড় বছর আগে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তারপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদেরকে মেনে নেয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের কাছে টাকা চাইতো টুটুল। পরে তাকে ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। আবার টাকার জন্য তাহমিনাকে চাপ দিলে কয়েক সাপ্তাহ আগেও স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
তিনি বলেন,শ্বশুর বাড়িতে আমার মেয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত কয়েক মাস আগেও তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। পরে তাহমিনা আমার বাড়িতে দুই মাস থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। সর্বশেষ গতকাল আমার মেয়েকে নির্যাতন করে তারা মেরে ফেলেছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই বলে হাউ মাউ করে কাঁদেন ।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনী পৌরসভার বারাহীপুরে শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর হাতে নৃশংস হত্যার শিকার হন তাহামিনা আক্তার। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী টুটুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুপিয়ে হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ