পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বখতারপুর গ্রামের যুবক জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মারা যান। গত বুধবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। গত বৃহস্পতিবার তার নমুনা সংগ্রহের ফলাফলে করোনা উপসর্গ ছিলনা বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। তবে এখনো স্থানীয়ভাবে ফলাফল এসে পৌঁছেনি।
২২ বছর বয়সী ওই যুবক নরসিংদীতে একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মৃত্যুর পর ওই যুবকের পরিবারসহ তার পাড়া এবং তার লাশ দেখতে আসা দোয়ারাবাজার সদরের মাঝের গাঁওয়ের দুই স্বজন পরিবারকে লকডাউনে রেখেছে প্রশাসন।
তবে এ ঘটনায় সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে তার লাশ দাফন করতে গিয়ে। নিহতের দুই ভাই ও বাবা লাশ বহনের জন্য মসজিদের খাটিয়া চেয়েও পাননি। মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনসহ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অনুমতি না মিলায় খাটিয়া ছাড়াই দুই ভাই ও বাবা সাদা কাফনে মোড়ানো হতভাগা যুবকের লাশ কাঁধে তুলে গোপনে কবরস্থ করেছেন বলে জানান মারা যাওয়া যুবকের পরিবারের। তবে দাফনের সময় থানা পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা গ্রামের মানুষের ক্ষোভের মুখে অসহায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম জানান, আমরা লাশ দাফনের সময় উপস্থিত ছিলাম। তবে গ্রামের লোকজন মসজিদের খাটিয়ায় লাশ বহনে অনুমতি না দেয়ায় ভাই ও বাবা কাঁধে নিয়ে লাশ দাফন করেছেন।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শামসুদ্দিনে বলেন, আমরা নমুনা পাঠিয়েছি। তবে এখনো আমাদের হাতে এসে ফলাফল পৌঁছেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।