পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবারের সদস্যের বিনা চিকিৎসায় মত্যু হলো’-যশোর হাহপাতালে স্বামীর লাশ নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ অভিযোগ তুললেন নারী ওসি রোকসানা খাতুন। তিনি বলেছেন, ডাক্তার নার্সদের অবহেলায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ছটফট করলেও অক্সিজেন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। নারী ওসি কেঁদে বলেছেন, ‘এই শুনছো, তোমার মেয়ে নিয়ে এখন আমি কী করবো? তোমার মেয়ে একা একা খায় না তুমি ছাড়া। এই ডাক্তাররা কোনো ট্রিটমেন্ট দিলো না। পুলিশ এতো সেবা দিচ্ছে অথচ পুলিশ পরিবার আজকে সেবা পেল না।’
নারী ওসি নড়াইলের নড়াগাতি থানার। স্বামী পাবনার সুজানগরের আহসানুল হক (৫০)। থাকতেন যশোর কোতয়ালি মডেল থানা স্টাফ কোয়ার্টারে। চাকরি করতেন বেনাপোলের রেলওয়েতে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে তার বুকে ব্যাথা হয়। একজন পুলিশ সদস্য তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৭টা ৩০মিনিটে নেয়। হাসপাতালে ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার দ্রæত তাকে করোনারীতে পাঠান ৭টা ৩৫মিনিটে। ৮টা ২০মিনিটে তিনি মারা যান।
ওসি রোকসানা খাতুন বুকের ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘তারা কিছুই করেনি। তারা ওয়ার্ডে রেখে চলে গেছে। রোগীর কাছে কোনো ডাক্তার, নার্স বা কোনো আয়া ছিল না। আমার দুনিয়াডা অন্ধকার করে দিলো তাদের অবহেলা।’ তার কথা, ‘আমার ছোট বাচ্চা। সে (স্বামী) হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। আমার স্বামী হাসপাতালে আসার আগে বলছিলো ‘সবাই আমাকে করোনা রোগী ভাববে।’ আমি বলেছি, ‘যা ভাবে ভাবুক। তুমি যাও।’ বললো ‘ডাক্তাররা আমারে কোথায় ফেলায় রাখবেনে।’ আমি কই, ‘না ডাক্তাররা ফেলায় রাখবে না।’ কয়, ‘তুমি ফোন করো, ফোন করো।’ আমি বলে দিছি, তারপরও কোনো ডাক্তার আসেনি। একটি ইমারজেন্সী রোগীকে আইসিইউতে না নিয়ে কীভাবে ওয়ার্ডে ফেলে রাখে? ডাক্তার আইছে পরে। এসে দেখাচ্ছে যে, আমরা অক্সিজেন দিছি, এ দিছি, সে দিছি। কিচ্ছু না। কীভাবে একটা মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারে?’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয়নি। হাসপাতালের সুপার ডা. দীলিপ কুমার রায় বলেছেন, তিনি কার্ডিয়াক অ্যাটাকে মারা যান। করোনারীর ডা. সোহান তাকে চিকিৎসা দেন। রোগীর ছটফটের কারণে ইসিজি পর্যন্ত করা যায়নি। নার্সরা অক্সিজেন দেয়নি কেন বিষয়ে তিনি বলেন অক্সিজেন গ্রহণের অবস্থা ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।