পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানকে ‘অগ্রাধিকার দেশ’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় পাকিস্তান সরকারকে সহায়তার জন্য এক মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা দেবে তারা। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাম্বাসাডর পল জোনস। জোনস বলেন, “করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের পাশেই আছে যুক্তরাষ্ট্র। জরুরি করোনাভাইরাস সহায়তা দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে আমরা অগ্রাধিকার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছি”। তিনি আরও বলেন, “বিদ্যমান তহবিলে এক মিলিয়ন ডলার এবং ল্যাব ও জরুরি সরবরাহের জন্য এক মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে যাতে তারা করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ করতে পারে”। এই সহায়তা দিয়ে একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশান তৈরি করা হবে, যেটার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তদন্ত ও জবাব দেয়ার মাত্রা বাড়ানো যাবে এবং সেগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান সরকারের অনুরোধে, আমরা দ্রূততার সাথে করোনাভাইরাস মোকাবেলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি কেনার জন্য একটা ব্যবস্থা নিয়েছি”। ইউএসএআইডি এ জন্য দেশটির বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের জন্য একটি ডেটাবেজ তৈরি করেছে যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সম্ভাব্য ব্যক্তিদেরকে তাদের সফরস‚চি ও লক্ষণের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। রাষ্ট্রদ‚তের দেয়া তথ্যমতে, ১০০ পাকিস্তানী শিক্ষার্থী যারা স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) থেকে এপিডেমিওলজি ল্যাব প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে এসেছে, তারা গিলগিট বালটিস্তান ও পাঞ্জাবে করোনাভাইরাস নিয়ে কাজ করছে। জোনস বলেন, “সিন্ধ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, জাকোবাবাদ ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স প্রতিষ্ঠার জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখানে একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটও রয়েছে। আমরা একই সাথে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ১৩টি সম্পূর্ণ সুসজ্জিত অ্যাম্বুলেন্সও সরবরাহ করছি”। তিনি তার সহনাগরিকদের প্রতি আহবান জানান, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে অবস্থানরত আমেরিকানদের জন্য, আমি জোর আহবান জানাচ্ছি যাতে তারা আমাদের স্মার্ট ট্রাভেলার এনরোলমেন্ট কর্মসূচির সাথে যুক্ত হয়, যেটা স্টেপ নামে পরিচিত। এটার মাধ্যমে দূতাবাস থেকে আপনারা নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সতর্কবার্তা পাবেন, যাতে আপনারা পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন”। রাষ্ট্রদূত আরও জানিয়েছে যে, দূতাবাসের যে সব কর্মকর্তারা পাকিস্তানে রয়ে গেছেন, তারা যেন ঘন ঘন হাত ধোয়া, স্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলেন। জিও নিউজ, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।