পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মুগদা এলাকায় তারিনা বেগম লিপা হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িত ছিনতাইকারী চক্র। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে প্রাইভেটকারসহ অবস্থান করে ছিনতাইকারী ওই চক্রটি। রাত হলেই সক্রিয় হয়ে ওঠা এ চক্রটির অন্যতম টার্গেট ছিল ভোরে চলাচলকারী যাত্রীরা। সুবিধাজনক স্থানে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুট কিংবা হেঁচকা টানে ব্যাগ কেড়ে নেয় তারা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে মুগদায় ছিনতাইয়ের সময় রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে তারিনা বেগম লিপা নিহতের ঘটনায় ওই ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শনিবার দিনগত রাতে মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রোববার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
ডিবি পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ সময় তাদের কাছ থেকে এক রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি ছুরি, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দু’টি প্রাইভেটকার এবং ভিকটিমের একটি ট্যাব ও নগদ এক হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো-মো. মিজুয়ান মিয়া, শেখ লিটন, মো. আব্দুল মজিদ ও মো. রফিক হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন বলেন, লিপা নামে ওই নারী মারা যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে পরদিন দেখে তারা মিরপুরে গা ঢাকা দেয়। শনিবার রাতেও চক্রটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বের হবার প্রস্তুতির সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুগদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেটকার ব্যবহার করে রিকশা যাত্রী ও পথচারীদের ব্যাগ ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মিজুয়ানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, গত ২৯ ফেব্রæয়ারি ভোরে মুগদা এলাকার লিপা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারা জড়িত ছিল। তারা খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি অবস্থান করছিল। ওইদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লিপা রিকশা করে যাওয়ার সময় তার হাতে থাকা ব্যাগটি দেখে তা নেয়ার জন্য টার্গেট করে। পরে প্রাইভেটকারযোগে ধীর গতিতে অনুসরণ করতে থাকে। দক্ষিণ মুগদার ইউনিক বাস কাউন্টার অতিক্রম করার পর তারা লিপার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে টান দেয়। এ সময় ভিকটিম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিকশা থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজুয়ান আরো জানান, এ সময় তাদের বড় ভাই মনা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরে তারা টয়েনবি রোড ফকিরাপুল, মতিঝিল, মিরপুর টেকনিক্যালে আরও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। তারপর তারা বাসায় ফিরে যায়। গণমাধ্যমে প্রচারিত লিপার মৃত্যু সংবাদ শুনে তারা মিরপুরে বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়েছিল।
আব্দুল বাতেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত মনা পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার শেখ লিটনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এছাড়া পলাতক মনার বিরুদ্ধেও চারটি মামলা আছে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে, তাদের সুবিধামতো স্থানে রাতে বা ভোর রাতে সড়কে চলাচলকারী ব্যক্তিদের গতিরোধ করে অস্ত্র ও ছুরির মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় শনিবার রাতেও তারা ছিনতাইযের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ঢাকায় যারা প্রাইভেটকারে ছিনতাই করে তারা যদি ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি না নেয়, তাহলে শনাক্ত করা কঠিন। আর ছিনতাইকারীরাও টহল পুলিশ কিংবা পুলিশ পেট্রোল গাড়ির সামনে ছিনতাই করে না। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গোলাম কিবরিয়া ও তার স্ত্রী তারিনা বেগম লিপা দুই সন্তানসহ কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার সময় দক্ষিণ মুগদা ইউনিক বাস কাউন্টার ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি আসার পর ছিনতাইকারী চক্র লিপার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় লিপা রিকশা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।