রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরে মহাসড়কের দুই পাশ থেকে বনবিভাগের মালিকানাধীন আনুমানিক ৩০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সড়ক বিভাগের কার্য সহকারীর নের্তৃত্বে গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে স্থানীয় ডাঙ্গি ইউনিয়ন পরিষদের কাছে। এ ঘটনা ঘটেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলাধীন ডাঙ্গি ইউনিয়নের বাসাগাড়ি নামকস্থানে।
জানা যায়, ফরিদপুর সড়ক বিভাগ এ উদ্যোগে ডাঙ্গি ইউনিয়নের বাসাগাড়ি হতে কাজী বাড়ির মধ্যবর্তী ১ হাজার ২৯০ মিটার অংশে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের সংস্কারের কাজ চলছে। সড়কের ওই জায়গা থেকেই ওই ৩০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এ গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই স্থানে মহাসড়কের উভয় পাশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০টির মতো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলো হলো মেহগনি, রেনট্রি ও শিশু গাছ। এ গাছগুলোর আনুমানিক বয়স ৮/১০ থেকে ২০/২২ বছরের। কেটে ফেলা এসব গাছের অনেকগুলো বেকু মেশিন দিয়ে মাটির গভীর হতে উপড়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি কেটে ফেলা কিছু গাছ গুড়ি এখনও দৃশ্যমান রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেকু চালানোর সুবিধার্থে ডাল কাটার অজুহাতে সড়ক বিভাগের কার্য সহকারী (ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট) জিন্নাত আলীর নের্তৃত্বে রাতের আধারে এসব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সড়ক বিভাগের কার্য সহকারী জিন্নাত আলী বলেন, মহাসড়কের দুই পাশ থেকে কোনো গাছকাটা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বেকু মেশিন চালানোর সুবিধার জন্য নির্মাণ শ্রমিকরা কিছু গাছের ডাল কেটে ফেলতে পারে। তবে এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগ জড়িত নয়।
ওই কাজের তদারকিতে নিয়োজিত রয়েছেন ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলাকালে বেকু মেশিন চালানোর সুবিধার্থে মহাসড়কের মধ্যে চলে আসা উভয়পাশের কিছু গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কোনো গাছের গোড়া থেকে কাটা হয়নি। তিনি আরও বলেন, গাছের ডাল কাটার জন্য বনবিভাগকে লিখিতভাবে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, সড়ক বিভাগের কাছ থেকে তাদেরকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠির ব্যাপারে বনবিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এ অবস্থায় যদি গাছগুলো কেটে ফেলা হয় তবে সেটা আইন বহিভর্‚ত কাজ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।