মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০৩৬ পর্যন্ত নিজের প্রেসিডেন্ট পদ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর প্রথম ধাপ হিসাবে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্টের পদের মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব গত মঙ্গলবারই রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে। সাংবিধানিক কোর্টের ছাড়পত্র পেলে প্রস্তাবটি আগামী ২২ এপ্রিল রুশ জনগণের ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করা হবে। তাতে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেলেই ২০৩৬ অবধি পুতিনের ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত!
মঙ্গলবার সংবিধান সংশোধনী বিল উপস্থাপনের প্রায় বিশ মিনিটে আগে পুতিন-ঘনিষ্ঠ সাংসদ ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভার প্রস্তাব বুঝিয়ে দেয়, এত সহজে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নন রুশ প্রেসিডেন্ট। ভ্যালেন্তিনার প্রস্তাব ছিল, প্রেসিডেন্ট পদের নির্দিষ্ট মেয়াদ অবলুপ্ত করা হোক অথবা শুধুমাত্র পুতিনের ক্ষেত্রে আরও একবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য ছাড়পত্র দেয়া হোক। প্রস্তাবটি আপাতত নিম্নকক্ষে ৩৮৩-০ ভোটে ছাড়পত্র পেলেও পার্লামেন্টে আরও দু’রাউন্ডের ভোটাভুটি হবে। তার পর প্রস্তাবটিকে পাঠানো হবে সাংবিধানিক আদালতে। সেখানে পাশ হলে তবেই প্রস্তাবটি গণভোটের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ভোটাভুটির আগে প্রস্তাবের সমর্থনে মুখ খোলেন পুতিন। বলেন, ‘দ্বিতীয় এই প্রস্তাবের অর্থ, যে কোনও রুশ নাগরিকের (বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট-সহ) প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার পথে সব বাধা দূর হবে। তবে, সাংবিধানিক আদালত যদি মনে করে এই প্রস্তাব প্রচলিত আইনের পরিপন্থী নয়, তবেই নৈতিকভাবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব।’
প্রস্তাব পেশ করা ভ্যালেন্তিনা মহাকাশে পা রাখা প্রথম রুশ মহিলা। পুতিনের একান্ত অনুগত এই মহিলা সাংসদের যুক্তি ছিল, প্রস্তাবটি পাশ হলে রাশিয়ার রাজনীতিতে ভারসাম্য আসবে। তার কথায়, ‘২০২৪-এর পর কী হতে চলেছে, তা নিয়ে রাশিয়ার মানুষ চিন্তিত। এটা শুধু প্রেসিডেন্ট পদে কারও বসার প্রশ্ন নয়, এটা সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে ধরে রাখার প্রশ্ন। লোকে রাজনীতির রং চড়িয়ে যা খুশি বলুক না কেন, আমার বিশ্বাস অধিকাংশ সাংসদই আমার বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হবেন।’
২০০০ সাল থেকে ২০০৮ অবধি দুই দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন পুতিন। ২০১২-এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ক্ষমতায় তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০০-এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের থেকে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের ক্ষমতা ছিল বেশি!
পার্লামেন্টে পুতিনের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় পরবর্তী ভোটাভুটিতেও প্রস্থাবটি পাশ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংবিধানিক কোর্টেও ছাড়পত্র পাওয়াটা খুব একটা কঠিন হবে বলে মনে হয় না। তবে পুতিনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রস্তাবটি গণভোটের মাধ্যমে পাশ করিয়ে নেয়া। দীর্ঘ সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও গত দু’বছর ধরে পেনশন সংস্কার এবং অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া অবস্থার কারণে পুতিনের জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। সেটা পুতিনের পদের মেয়াদ বৃদ্ধির পদে অন্তরায় হয় কি না, দেখার সেটাই। সূত্র: মেট্রো, ফরেন পলিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।