বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঝালকাঠির ভাষা সৈনিক লাইলী বেগম (৮০)। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে তিনি ঢাকা সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই মঙ্গলবার রাত ৯টায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ২ ছেলে ও ৮ মেয়েসহ অসংখ্য গুণাগ্রহী রেখে গেছেন। বুধবার সকালে তাঁর মরদেহ পূর্বচাঁদকাঠি বাসভবনে নিয়ে আসলে সেখানে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জোহরবাদ শহরের এবায়দুল্লাহ জামে মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কল্যাণকাঠি গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। তখন পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিল রফিক, শফিক, সালাম, বরকতসহ আরো অনেকে। সেই খবরটি ঝালকাঠিতে এসে পৌছালে ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ঝালকাঠিতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ভাষা আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমেছিল। তাদের মধ্যে তৎকালীন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লাইলী বেগমের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো।
জীবদ্দশায় লাইলী বেগম বলেছিলেন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতার বীজ বপণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশও স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু ভাসা সৈনিকদের কোন স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর। তবে ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি ঝালকাঠির তৎকালীন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক তাকে ভাষা সৈনিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন।
লাইলী বেগমের ছেলে আল-আমিন উজ্জল বলেন, মৃত্যুর আগে আমার মা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে কথার বলার শেষ ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আশা আর পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে তিনি মারা যান। বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।