পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ফসলের মাঠ থেকে শুরু করে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রয়োগ, কৃষি গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করে চলেছে আজকের কৃষি কন্যারা। কৃষিতে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি ক্ষেত্রে গত ৩০ নভেম্বর প্রথমবারে মতো ছাত্রদের পিছনে ফেলে ছাত্রীরা এগিয়ে গেছে। সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যত শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৪২ শতাংশই ছাত্রী। নারীশিক্ষার জন্য সরকারের নানা ধরনের প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কারণে এখন নারীরা উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে চিকিৎসাশিক্ষাতেও নারীর সংখ্যা পুরুষকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ছাত্রী এবং ৪০ শতাংশ ছিল ছাত্র। এ ছাড়া আরও কয়েক বছর আগেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ভর্তিতে ছাত্রদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় ছাত্রীরা।
বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০১৮ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪ শতাংশ ছাত্রী অধ্যয়নরত। ২০০৯ সালে ছিল ৩০ শতাংশ। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ শতাংশ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ছাত্রী বর্তমানে অধ্যায়নরত। এ পরিসংখ্যান থেকেই বুঝা যাচ্ছে-কৃষি শিক্ষার নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে চলছে। শুধু কী লেখাপড়া, শিক্ষকতা পেশাতেও তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ শতাংশ শিক্ষকই নারী।
চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে এখানকার প্রতিটি ছাত্রীই তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখছে। শিক্ষক আর গবেষকদের নয়া প্রযুক্তি নিয়ে মাঠ পর্যায়েও তারা কৃষাণ-কৃষাণিদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে, পরামর্শ দিচ্ছে। ভালো ফলাফল করা জন্য মেয়েরা আজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পদক থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে সফল হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশা থেকে শুরু করে বিসিএস, বিএডিসি, বিআরআরআই, বিএআরআই, এসআরডিআইসহ বিভিন্ন সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক, এনজিও, ব্যাংক, কোম্পানি, আখ, পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সাথে কাজ করছে। স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর মতো সাফল্যও রয়েছে তাদের ঝুলিতে।
লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।