পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড অনুমোদন এবং আসামিপক্ষের আপিল সংক্রান্ত শুনানি গ্রহণ করবেন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বেঞ্চটি চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, নূসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি হবে একই সঙ্গে। এ লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটির ‘পেপারবুক’ প্রস্তুত হয়েছে। পরে মামলাটি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হয়। প্রধান বিচারপতি পৃথক বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আইনি বিধি-বিধান অনুসারে বিচারিক আদালতে কোনও আসামিকে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেয়া হলে সেটি কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের ওপরে হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। গত বছরের ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সানাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে রাফিকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফিকে চাপ দেয় তারা। পরে দ্বগ্ধ অবস্থায় রাফিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায় নূসরাত জাহান রাফি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।