মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, এ খবরটাই যথেষ্ট চমক ছিল। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর তার হবু স্ত্রী কেরি সাইমন্ডস জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যে বাবা-মা হতে চলেছেন তারা। রোববার কেরি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, গত বছরের শেষে তারা বাগ্দান পর্ব সম্পন্ন করেছিলেন।
৫৫ বছর বয়সি জনসন হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একই সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে এবং সন্তানের বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করছেন! এই ঠিকানায় ২০১০ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের চতুর্থ সন্তানের জন্ম হয়েছিল। জনসন-কেরির আর একটি রেকর্ড— বিয়ে না করেও ডাউনিং স্ট্রিটে এই প্রথম থাকতে শুরু করেছেন কোনও দম্পতি।
সম্প্রতি বরিসের মন্ত্রীসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল দুর্ব্যবহারের অভিযোগে শিরোনামে এসেছেন। বরিস নিজে ব্রিটেনের বন্যাদুর্গত এলাকায় যাননি বলেও সমালোচিত হন। আপাতত জোড়া সুখবর কিছুটা স্বস্তিতে রাখছে প্রধানমন্ত্রীকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মেরিনা হুইলারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিয়েতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইতি টেনেছেন বরিস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ছিলেন মেরিনার বাবা চার্লস হুইলার। শিখ মহিলা দীপ সিংহকে বিয়ে করেন তিনি। সাবেক জামাতা জনসন শ্বশুরবাড়ির ভারতীয় সংযোগ নিয়ে উৎসাহী ছিলেন। পারিবারিক বিয়েতে ভাংড়া নেচে মজা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সে সবই এখন স্মৃতি। ২০১৮ সালে আলাদা হয়ে যান মেরিনা-বরিস। সম্প্রতি সারভাইকাল ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছেন বরিসের সাবেক স্ত্রী। এখন স্মৃতিকথা লিখছেন। পারিবারিক সম্পত্তি থেকে ৪০ লাখ পাউন্ড পাবেন মেরিনা। তাদের চার সন্তান।
তিনি আদতে কত জন সন্তানের বাবা, এ প্রশ্ন এড়িয়েই যান বরিস। কেরির সন্তান জন্মালে তিনি অন্তত ছ’জন সন্তানের বাবা হবেন বলে দাবি। মেরিনার সঙ্গে থাকতে থাকতেই বরিসের প্রেম হয় শিল্প উপদেষ্টা হেলেন ম্যাকিনটায়ারের সঙ্গে। ২০০৯ সালে হেলেন-বরিসের কন্যা স্টেফানির জন্ম। প্রথমে জনসন পিতৃত্ব অস্বীকার করেছিলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় ২০১৩ সালে সবই ফাঁস হয়ে যায়। স্টেফানির সঙ্গে মেরিনার সন্তানদের কোনও যোগাযোগ নেই।
জনসন আগাগোড়াই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তার পারিবারিক জীবন একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই এ নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না। গত বছর ভোটের আগে সংবাদমাধ্যমে বারবার তাকে পরিবার নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। শুধু বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে দেশ আগ্রহী। ব্রেক্সিট কী ভাবে হবে, মানুষ বরং সেটা জানতে আগ্রহী।’ সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।