Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোয়া এক বছর পর লিভারপুলের হার

পিএসজি-বায়ার্নের গোল উৎসব, চেলসির হোঁচট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সব কিছুরই যে শেষ আছে, এই কথাটা মানতে বাধ্য লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগে পরশু ওয়াটফোর্ডের কাছে রেডরা হেরেছে ৩-০ গোলে। সোয়া এক বছর পর লিগে হারল লিভারপুল, ম্যাচের হিসাব করলে ৪৪ ম্যাচ পর। শেষ সেই ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরেছিল তারা। যে হারটাই পরে লিভারপুলের লিগ জেতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এবার অবশ্য সে সমস্যা নেই। ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির চেয়ে ২২ পয়েন্টে এগিয়ে আছে তারা। হাতে আছে ১০ ম্যাচ। এই ১০ ম্যাচের মধ্যে কোনোরকমে চারটা ম্যাচ জিততে পারলেই অন্য কারও দিকে না তাকিয়েই ৩০ বছর পর লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে লিভারপুল।

আর এই হারের ফলে লিগ মৌসুমে তাদের অপরাজিত থাকার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল। প্রিমিয়ার লিগ চালু পর এক আর্সেনাল এই কীর্তিটা গড়তে পেরেছিল, সেই ২০০৩-০৪ মৌসুমে। এক ম্যাচও না হেরে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। আর্সেনালকে ছুঁতে পারল না ‘অল রেড’রা। এই হারে ইংলিশ লিগে টানা ও সর্বোচ্চ ১৯ জয়ের রেকর্ড করা থেকে বঞ্চিত হয়েছে লিভারপুল। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে লিগে যৌথভাবে টানা ১৮ জয় নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।

প্রথমার্ধে লিভারপুল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। বিপরীতে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ওয়াটফোর্ড। বিরতির আগে সুবর্ণ সুযোগটি ছিল ট্রয় ডিনির। সেটি রুখে দিয়েছেন আলিসন। গত সপ্তাহে এই লিভারপুল ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। এবার তা হয়নি, উল্টো খেই হারিয়ে বসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৪ ও ৬০ মিনিটে জোড়া গোল করে ওয়াটফোর্ডকে এগিয়ে নিয়েছেন সার। ৭২ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন ডিনি।

হারটা লিভারপুলের জন্য অপ্রত্যাশিত হলেও শিরোপা জেতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। ২৮ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই তারা। নিচের দিকের দল ওয়াটফোর্ডের ২৮ ম্যাচে সংগ্রহ ২৭ পয়েন্ট। দিনের অন্য ম্যাচে এএফসি বোর্নমাউথের মাঠ থেকে ২-২ ড্র নিয়ে ফেরা চেলসি ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

ফরাসি লিগ ওয়ানে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একই প্রতিপক্ষ, ফলাফল প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) আরেকটি গোল উৎসবে জয়। সর্বশেষটি ছিল ফ্রেঞ্চ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার লিগ ওয়ানেও দিজোঁর বিপক্ষে আরেকটি জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি। এবারের জয় ৪-০ গোলে। ফল বিচারে দুটি ম্যাচেই ছিল পিএসজির আধিপত্য। ১২ ফেব্রæয়ারির ম্যাচটি তারা জেতে ৬-১ গোলে। এই ম্যাচে তৃতীয় মিনিট থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণ কাঁপিয়েছে এমবাপ্পেরা। যার শুরু সারাবিয়ার গোলে।

পিএসজি সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিল দ্বিতীয়ার্ধে। জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে। ৭৪ মিনিটের পর যোগ হওয়া সময়ে (৯০+১) করেছেন দ্বিতীয় গোল। তার আগে ৭৬ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেছেন ইকার্দি। এই জয়ের পর ১৩ পয়েন্টের ব্যবধান রেখে শীর্ষে থাকলো পিএসজি। ২৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট মার্শেইর।

অন্যদিকে একইদিনে বুন্দেসলিগায় গোল উৎসব করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফিলিপ্পে কুতিনহোর জোড়া গোলে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা ৬-০ গোলে গুড়িয়ে দিয়েছে হোফেনহেইমকে। ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার কুতিনহোর সঙ্গে বাভারিয়ানদের হয়ে গোল করেন সার্জ গনাবরি, জোশুয়া কিমিচ, জোশুয়া জির্কজি ও লিওন গোরেটজকা। ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখন বায়ার্ন। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আরবি লিপজিগ।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রিমিয়ার লিগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ