Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকার বাতিহীন অনেক রাস্তায় ছিনতাই বাড়ছে

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা মহানগরীর বেশকিছু এলাকায় রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট এবং অলিগলি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিস্টদের নজর না দিলে অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪২ জন চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে ডিবি। এর পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ডিবির সব বিভাগ একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে এসব ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এরা সকলেই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৮৫টি ছিনতাই হওয়া মোবাইল, চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নাগরিক হিসেবে আপনার দায়িত্ব-কোথাও কোন অপরাধ হলে তা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়া। তাছাড়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয় না অপরাধ সম্পর্কে জানা কিংবা অপরাধীকে সনাক্ত করা। নগরবাসীকে বলতে চাই, আপনারা থানায় যাবেন অভিযোগ দেবেন। থানা যদি মামলা বা অভিযোগ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাহলে তা আমাদের উর্ধ্বতনদের জানাবেন। তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকার রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট আছে সেগুলো বেশিরভাগ নষ্ট এবং গলিগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এতে ওসব এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যেসব এলাকায় এমন অবস্থা আমাদের দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে নগরবাসিকেও ওইসব এলাকা দিয়ে চলাচলের সময় সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে।
অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) জানান, ছিনতাইকারীরা সুযোগ পেলেই ছিনতাই কাজটি করে। তাদের আইনের আওতায় এনে পূর্ণাঙ্গ সাজার ব্যবস্থা না করা হলে অপরাধ কমানো সম্ভব হবে না। বেশির ভাগ সময় বাস-লঞ্চ টার্মিনাল এবং অন্ধকার গলিতে ছিনতাই হয়ে থাকে। আর সেটা গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত।
তিনি জানান, ছিনতাই মোবাইল কোথায় যায় এটা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখেছি ছোটখাটো যে মোবাইল পার্সের দোকান আছে তারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকে। বসুন্ধরা, মোতালেব প্লাজার অনেক দোকানদার আছে যারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকে। এসব মোবাইল সরাসরি মানুষের কাছে বিক্রি করে না। বিশেষ করে কারও মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে চোরাই মোবাইলের পার্স খুলে বিক্রি করা হয়। এসব পার্স বিক্রি করলে যে লাভ হয় তা মোবাইল বিক্রি করলেও হয় না। চোরাই মোবাইলের বিক্রি ও কেনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। অচিরেই সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে। বড় বড় মার্কেটের যেসব ব্যবসায়ীরা এসব মোবাইল বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বলতে চাই এটা অপরাধ। এসব কাজে অবশ্যই আপনারা (ব্যবসায়ী) সতর্ক হন। কারণ আমাদের এই অভিযান চলবে। ফলে ছিনতাইকারী বা টানা পাটি আছে তাদের আধিপত্য হ্রাস পাবে।
মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাই বেশি হয়, এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, যেসময় গুলোতে এ ধরণের কর্মকান্ড ঘটে তা বন্ধ করতে আমরা বাস-লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে টহল জোরদার করব সঙ্গে গোয়েন্দানজরদারিও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে ওই সব এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী যারা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
শনিবার ভোরে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় রিকশা থেকে পরে তারিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকরা করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। এই ব্যাপারে মামলা হবে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় নগরবাসী মামলা করতে নিরুসাহিত হয় এর কারণ কী পুলিশের কোন দায়? এমন প্রশ্নে বাতেন বলেন, দায় বললে হবে না, এটা দায়িত্বশীলতা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছিনতাই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ