নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মর্যাদায় স্পেনের দুই জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ১৮৯৯ সালে বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠা পায়। আর ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেই থেকে দল দুটি মুখোমুখি হচ্ছে। সময়ের পরিক্রমায় তাদের দ্বৈরথ পেয়েছে শৈল্পিক নাম। যেটা ‘এল ক্লাসিকো’ নামে পরিচিত। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে আজ ২৭৭তম বারের মতো মুখোমুখি হবে বার্সা-রিয়াল। এতে মাদ্রিদের ৯৯ জয়ের উল্টোদিকে বার্সার জয় ১১৫টি। তবে লা লিগায় দুই দল এখন সমতায় আছে। দুই দলেরই জয় ৭২টি করে।
লা লিগার শিরোপা দৌড় জমে উঠেছে বলাটা কঠিন। বরং বলা যায় দুই মৌসুম পর আবারও শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াই হচ্ছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। বাকি দলগুলো একটু বেশিই পিছিয়ে। এর মাঝে রিয়ালের চেয়েও ২ পয়েন্ট এগিয়ে বার্সেলোনা। সমান ২৫ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৫৫, সেখানে রিয়ালের ৫৩। আজ এ মৌসুমের সম্ভাব্য শেষ এল ক্লাসিকো। এ ম্যাচই হয়তো বলে দেবে লা লিগা যাচ্ছে কার কাছে-বার্সেলোনা নাকি রিয়াল মাদ্রিদ।
এ ম্যাচের পরও এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকবে লিগের। তবু ক্লাসিকোকেই বলা হচ্ছে মৌসুম নির্ধারণী ম্যাচ। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে খেলা হলেও স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। বার্নাব্যুতে যে গত কয়েক বছরে বার্সেলোনাই দাপট দেখাচ্ছে। ঘরের মাঠে রিয়ালের সর্বশেষ ক্লাসিকো জয় ২০১৭ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপে। এ অবস্থায় জিনেদিন জিদানের জন্য কাজটা বেশ কঠিন।
ক্লাসিকোর আগে অতীত রেকর্ডে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। কোন তারকা এল ক্লাসিকো হলেই জ্বলে ওঠেন, কোন দল সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে আর কোন দল গোল করেছে বেশি। সবচেয়ে বেশি গোলে জয়ই-বা কার?
মেসি ও অন্যরা :
এল ক্লাসিকোতে এ পর্যন্ত ২৮টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। ১৯১৩ সালে বার্সেলোনার জার্সিতে জিম কারলিয়ের প্রথম করেছিলেন এ কীর্তি। গত মৌসুমে ন্যু ক্যাম্পে লুইস সুয়ারেজ যোগ দিয়েছেন এ তালিকায়। এ পর্যন্ত চারজন খেলোয়াড় দুবার হ্যাটট্রিক করেছেন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু, জেইম লাজকানো ও ফেরেঙ্ক পুসকাস করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। আর বার্সেলোনার হয়ে এ কীর্তি লিওনেল মেসির। রিয়ালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিন্তু এই গর্বিত তালিকায় নেই। কীভাবে থাকবেন? সাদা জার্সির কারও কাছ থেকে এমন কিছু যে সর্বশেষে দেখা গেছে ১৯৯৫ সালে। চিলিয়ান কিংবদন্তি ইভান জামোরানোর হ্যাটট্রিকই সর্বশেষ রিয়াল হ্যাটট্রিক ক্লাসিকোতে।
বার্সা এগিয়ে :
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে ক্লাসিকো জিততে পারেনি রিয়াল। অবশ্য ঘরের মাঠে রিয়ালের সর্বশেষ ক্লাসিকো জয় ২০১৭ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপে।
বড় জয় :
১৯৪৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিতর্কিত ১১-১ গোলের জয়ই এখনো রেকর্ডে লেখা রয়েছে। সামরিক শক্তি প্রভাবের প্রতিবাদে সেদিন বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা নাকি মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ ছাড়া লিগে ১৯৩৫ সালে বার্সেলোনাকে ৮-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর বার্সেলোনা এর প্রতিশোধ নিয়েছিল ১৯৫০ সালে প্রতিদ্ব›দ্বীদের ৭-২ গোলে হারিয়ে।
এখানেও মেসি :
এল ক্লাসিকোতে গোলের রেকর্ডে মেসির ধারে কাছে নেই কেউ। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ২৬টি ক্লাসিকো গোল আছে। মাদ্রিদের হয়ে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করেছেন ১৮টি গোল। কাল মাঠে থাকবেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে বেনজেমার আছে ৯ গোল।
টানা জয় :
টানা পাঁচটি এল ক্লাসিকো জেতার রেকর্ড গড়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালে এ কীর্তি গড়া বার্সেলোনার জবাব দিতে চাইলে রিয়াল সমর্থকদের অনেক পেছনে তাকাতে হবে। সেই ১৯৬২ থেকে ’৬৫ পর্যন্ত টানা সাত এল ক্লাসিকোতে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল। টানা গোল করার রেকর্ডে বার্সেলোনাই এগিয়ে আছে। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ২৪ ম্যাচে গোল পেয়েছে তারা।
তার উপর আজকের এল ক্লাসিকোটি হতে যাচ্ছে লালিগায় পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ারও ম্যাচ। গেল এক দশকে রিয়াল মাদ্রিদ মাত্র ২টি লা লিগার শিরোপা জিতেছে। বার্সেলোনা জিতেছে ৭টি। আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারা আগামী এল ক্লাসিকো পর্যন্ত মাথু উঁচু করে রাখতেই পারে। সেটি রিয়াল মাদ্রিদ নাকি বার্সেলোনা হবে? জানতে অপেক্ষা করতে হবে গভীর রাত পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।