মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০০১ সালে নিউ ইয়র্কে আত্মঘাতী জঙ্গি হানার পরে তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। তারপর কেটে গিয়েছে ১৮ বছর। টানা যুদ্ধে দু’পক্ষেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল। এরপর শনিবার শান্তিচুক্তি সই করেছে দু’পক্ষ।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালিবান নেতাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে শান্তির সূচনা হল। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
এ ছাড়া আফগান নাগরিকরা নিজ দেশে শান্তিতে বসবাসের অধিকার রাখে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বৈঠকে অংশ নিতে ৩১ সদস্যের তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল আগেই কাতার পৌঁছায়।
এদিন কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হল। এর পরে দফায় দফায় আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হবে কয়েক হাজার সৈন্য। অন্যদিকে তালিবান আফগানিস্তানের সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা চালায় যাতে দেশে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়।
১৮ বছরের যুদ্ধে ২৩৫২ জন মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এই প্রথমবার তালিবান-আমেরিকা আলোচনায় উপস্থিত আছে ভারত। কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পি কুমারন চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন। কাতার সরকার তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল। এর মধ্যে গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে কাবুলে বিস্ফোরণে এক আমেরিকান সৈনিক ও আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়। সেই হামলার দায় স্বীকার করে তালিবান। তারপরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তালিবানের সঙ্গে তাঁদের গোপনে যে শান্তি আলোচনা চলছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প ওই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তালিবান জানায়, শান্তি আলোচনা বন্ধ করায় আরও বেশি আমেরিকানের মৃত্যু হবে।
গত বছর আমেরিকার মেরিল্যান্ডে ক্যাম্প ডেভিডে তালিবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল আমেরিকার প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, কাবুলে বিস্ফোরণের পরে তালিবানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থামানোর প্রশ্নই নেই। তার জবাবে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলেন, আমেরিকা শান্তি আলোচনা চালানোর পাশাপাশি আফগানিস্তানে আক্রমণও চালাচ্ছিল।
এই সময় দু’পক্ষের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হলেও পরে ফের শুরু হয় সমঝোতার প্রক্রিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।