পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে জোসনা ওরফে লিমা (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে স্বজনরা বলেছেন, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে ডি-টাইপ কলোনির একটি ফ্ল্যাটে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে খবর পেয়ে সেখানে অবস্থান করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জোসনা, শাহিনুর, সোহাগ, সেলিনা নামের চারজনকে আটক করা হয়। পরে জোসনা ওই রাতেই থানা হেফাজতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পরে তার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, অসুস্থতাজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু স্বজনদের অভিযোগ, জোসনাকে থানায় নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের আগ পর্যন্ত লাশ স্বজনদের দেখানো হয়নি।
নিহত জোসনা কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা সেলিম মিয়ার স্ত্রী। সেলিম পেশায় গাড়িচালক। এছাড়া নিহতের একমাত্র মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। জোসনার মেয়ের অভিযোগ, তার মা বেশ কয়েকদিন থেকে পায়ে ব্যথায় ভুগছিলেন। গত সোমবার বিকেলে চিকিৎসার জন্য কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে বের হন। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়। এ সময় মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নিহতের মেয়ে আরো জানায়, সোমবার সারা রাত মায়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তার মায়ের ফোন খোলা পাওয়া যায়। এ সময় ফোন দিলে এক ব্যক্তি রিসিভ করে পুলিশের লোক পরিচয় দেন এবং তার মা মারা গেছে, লাশ হাসপাতালে রাখা আছে বলে জানানো হয়। পরে খবর পেয়ে মেয়ে ও নিহতের ছোট ভাই ছুটে আসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তবে এ সময় তাদের লাশ দেখানো হয়নি। জোসনার ছোট ভাইয়ের অভিযোগ পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করায় তার বোনোর লাশ দেখানো হয়নি।
তবে এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তাই মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, নিহতের স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। তাই ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখনো ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসেনি। আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
তবে মোহাম্মদপুর জোনের এসি মো. রওশানুল হক সৈকত জানান, জোসনার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাই স্বজনরা কোনো অভিযোগ করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।