বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন হাইকোট মোড় এলাকায় বালির ট্রাক থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মামলার পর ওই দুইজনকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি মো. আবুল হাসান এ সব তথ্য জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় হাইকোট মোড়ের সামনে পানির পাম্প থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। তারা হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের তৃথীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই বর্ষের জুবায়ের আহমেদ শান্ত। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র এবং হল ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাকের সুপার ভাইজার মো. সোহেল রানা। মামলার নম্বর ৩৩।
ট্রাকচালক মো. কাইসার সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা ওয়াসার বালু নিয়ে দয়াগঞ্জ থেকে তিনি শাহবাগ আসছিলেন। হাইকোট মোড়ে আসার পর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেলে রাস্তার একপাশে পার্কিং করে রাখি। এমন সময় দুইজন লোক এসে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় এবং দশ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা নেই বলতে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। পরে আমার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে গাড়ির সুপারভাইজারকে আসতে বলে।
সুপারভাইজার মো. সোহেল রানা বলেন, বালুর গাড়ি আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারাও আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমার রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯৫০ টাকা নিয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ ডিলেট করে দেয়। পরে টহলরত পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
শাহবাগ থানার ওসি মো. আবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্তনাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, থানা থেকে ঘটনাটা অবহিত হয়েছি। অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ইতোপূর্বে ছিনতাই-চাঁদাবাজির কারণে বেশ কয়েক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।