Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী শিল্পের অনন্য জাদুঘর কাতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৫৮ পিএম

কাতারের রাজধানী দোহা পরিণত হয়েছে ইসলামী শিল্পের অনন্য জাদুঘরে। জাদুঘরটির নকশা করেছেন স্থপতি আই. এম. পাই। ইসলামি শিল্পের যাদুঘরের মূল ভবনের পেছনে একটি ২৮০,০০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট পার্ক রয়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছে একটা উপহারের দোকান, পাঠাগার, শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ২০০-আসন বিশিষ্ট থিয়েটার। নামাজ পরা ও ওজু করার জন্য জাদুঘরে রয়েছে বিশেষ স্থান। এছাড়া জাদুঘরে আছে রেস্টুরেন্ট, যেখানে আরবি খাবারের পাশাপাশি ফরাসি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়।

জাদুঘরটির স্থাপত্য প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত। তথাপি এর রয়েছে অনন্য স্থাপনাশৈলী। এই স্থাপনা শৈলীর ভবন এই অঞ্চলে এটাই প্রথম। জাদুঘরে ইসলামি শিল্পকলার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও পড়ার জন্য আছে পাঠাগার। সাবিহা আল খেমির ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।

মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ৪৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। স্থানটি আসলে একটা কৃত্রিক উপদ্বীপ, এখান থেকে দোহা উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত দেখা যায়। জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালে শেষ হয়, কিন্ত পরবর্তীকালে কয়েকবার জাদুঘরের অভ্যন্তরীন নকশায় পরিবর্তন করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বরে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বরে।
জাদুঘরটির স্থপতি ছিলেন আম. এম. পাই। এসময় তার বয়স ছিল ৯১ বছর। নকশা করার পূর্বে আই. এম. পাই প্রায় ছয় মাস ধরে মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেন মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য।

এছাড়া তিনি ইসলামিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পড়ালিখা করেন। জাদুঘরের জন্য প্রস্তাবিত সবগুলো স্থানকে অগ্রাহ্য করে আই. এম. পাই কাতার কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নতুন স্থানের আবেদন জানান। এর কারণ ছিল এমন একটি স্থানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা যাতে জাদুঘরের উপরে ভবিষ্যতে স্থাপনা দখলের সম্ভাবনা না থাকে।
পরবর্তিতে জাদুঘরটি দোহা উপসাগরের উপর নির্মিত হয়। এর পাশে নির্মাণ করা হয় একটি পার্ক। পাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন লুভর জাদুঘর নকশায় তার সহকারী প্রতিষ্ঠান উইলমোট এন্ড অ্যাসোসিয়েটসকে এই কাজে নিয়োগ দেবার জন্য। অনুমতি পাবার পরে এই কাজে আরোক নিযুক্ত হয় ভবনের আলো নকশাকারী প্রতিষ্ঠান আইসোমেট্রিক্ত লাইটিং ডিজাইন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক নকশা প্রতিষ্ঠান এভি কনসালটেন্টস। কাঠামোগত নকশার জন্যে কাজ করেছে লেসলি এ. রবার্টসন অ্যাসোসিয়েটস। সূত্র: উইকিপিডিয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ