মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও, বর্তমানে ২৬টির বেশি দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে উহান শহর তো দূরের কথা চীনে জোর করে পাঠালেও বেশিরভাগ মানুষ যাবে না। এমনকি বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত চীনের নাগরিকদেরও ভয় পাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
পিবিএক্স এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশে চীনের ক্রেতাদের দোকানে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। এমনকি রেস্টুরেন্টের বাইরে লেখা থাকছে, চীনের নাগরিকদের কাছে বিক্রি বন্ধ। আরো কড়া ভাষায় লেখা থাকছে, চীনের নাগরিকদের প্রবেশ নিষেধ।
এদিকে বর্ণবাদী শিরোনাম দেওয়ার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাননি, তাদের শঙ্কার কিছু নেই।
করোনাভাইরাসে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই চীনে তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ না করতে নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোর অভ্যন্তরে চীনাদের অপরিচ্ছন্ন ও অনিরাপদ হিসেবে দেখার সেই সাবেকি রীতি ফিরে এসেছে।
চীনা বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ সাংবাদিক সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় লেখেন, বাসে এক ব্যক্তির পাশের খালি আসনে তিনি বসার পর ওই ব্যক্তি উঠে অন্য আসনে চলে যান। চীনা বংশোদ্ভূত আরেক মালয়েশীয় অধিকারকর্মীও লন্ডনে একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘ইস্ট লন্ডনের একটি স্কুলে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, চীনের মানুষ কেন ভাইরাস আছে জেনেও অদ্ভুত খাবার খায়।’
কানাডায় স্কুলগামী চীনা শিশুদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে এমন সংবাদও পাওয়া গেছে। নিউজিল্যান্ডে এখনো করোনাভাইরাসের কোনো উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও সেখানে অনেক চীনাকে বর্ণবাদী মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়েছে। এসব ঘটনা পশ্চিমের বর্ণবাদী ইতিহাসকে ফের সামনে নিয়ে আসছে। ইয়েলো পেরিলের যুগে চীনাদের রীতিমতো নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল কট্টর বর্ণবাদীদের হাতে।
তবে এবারের বর্ণবাদী সমস্যা শুধু পশ্চিমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ভিয়েতনামের মতো দেশের অনেক দোকানের সামনে লিখে রাখা হয়েছে ‘নো চাইনিজ’। এমনকি জাপানের বিভিন্ন স্থানেও এমন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। কেউই চীনা নাগরিকদের নিরাপদ মনে করছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।