পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিশের হেফাজতে ইয়াসমিন বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ পুলিশি নির্যাতনে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইয়াসমিন বেগম মারা যান। নিহত ইয়াসমিন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাজীপুরা এলাকার আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী। একশ’ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে জিসান ও বোন ফারজানা বেগম অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আব্দুল হাইকে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে ইয়াসমিন বেগমকে মারধরের পর আটক করে নিয়ে যায়।
জিসান আরো অভিযোগ করেন, রাত ১১টার দিকে তিনি তার মা’র (ইয়াসমিনের) মোবাইলে ফোন দিলে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে প্রথমে ডিবি অফিসে এবং পরে গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে তিনি তার মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তিনিসহ স্বজনদের অভিযোগ পুলিশের নির্যাতনে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে ডিবি পুলিশ ইয়াসমিনকে হাসপাতালে আনেন। এসময় তার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এক পর্যায়ে রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মনজুর রহমান জানান, ইয়াসমিন মাদক ব্যবসায়ী। অভিযান চালিয়ে একশ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করা হয়। তার নামে দুইটি এবং তার স্বামীর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আটকের পর ইয়াসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। সেখানে নেয়ার প্রস্তুতির সময় তিনি মারা যান। তাকে নির্যাতন করা হয়নি। তিনি আরও জানান, নিহতের ছেলে তাকে জানিয়েছে আগেও ইয়াসমিন স্ট্রোক করেছিলেন। নিহতের হার্টে দুটি ব্লক ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।