মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় আদমশুমারি (এনপিআর)-এর বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক আজাদ ময়দানে লাখো মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সমাবেশে বিখ্যাত উর্দু কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের জনপ্রিয় কবিতা ‘হাম দেখেঙ্গে’ (আমরা দেখে নেব) আবৃতি করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে স্লােগান দেন বিক্ষোভকারীরা। ‘মহা মোর্চ’ নামে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট দ্য সিএএ, এনআরসি অ্যান্ড এনপিআর’র মহারাষ্ট্র শাখা। মুম্বাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা অংশ নেন। নাভি মুম্বাই থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছিলেন। ভারতের তিন রঙের পতাকা উড়িয়ে ও হাতে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর’র বিরোধিতা করে স্লােগান লেখা ব্যানার ছিল তাদের হাতে। বিক্ষোভকারীরা স্লােগান দেন, ‘মোদি, শাহ সে আজাদি’ (মোদি ও শাহ থেকে মুক্তি) এবং ‘সিএএ ও এনআরসি থেকে মুক্তি’। নারী বিক্ষোভকারীদের স্লােগান ছিল, আমরা হলাম ঝাঁসির রানি ও মাতা জিজাউয়ের মেয়ে। তাদের দাবি ছিল চলমান সংসদ অধিবেশনে নতুন নাগরিকত্ব আইন পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশের আহবায়ক সাবেক বিচারপতি কলসে পাতিল, অ্যাক্টিভিস্ট তিস্তা সেতালভাদ, অভিনেতা সুশান্ত সিং, সমাজবাদি পার্টি নেতা আবু আসিম আজমিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে, প্রতিনিধি দল নয়, ভারতের সিএএ বাতিলের দাবিতে মিছিল করে রোববার দুপুরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে যাবেন শাহিনবাগের সব আন্দোলকারী। সিএএ-এনআরসি নিয়ে যে কেউ যদি তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান, তা হলে তিন দিনের মধ্যে তা করতে তৈরি তিনি। তবে তার জন্য আগাম সময় চাইতে হবে তার দফতরের কাছে। গত বৃহস্পতিবার শাহের এই আহবানের সূত্র ধরেই এদিন মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন শাহিনবাগের সিএএ প্রতিবাদীরা। শাহিনবাগের এক প্রতিবাদীর কথায়, ‘প্রতিনিধি দল নয়, যাদেরই সিএএ নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারাই তাদের দাবি নিয়ে অমিত শাহের কাছে হাজির হবেন।’ তবে, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রের কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, সিএএ-এনআরসি নিয়ে আলোচনার জন্য কোনো আবেদনই দফতরে জমা পড়েনি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের দেখা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এর আগে সিএএ প্রতিবাদী ও শাহিনবাগের আন্দোলকারী সৈয়দ আমীর তাসি বলেছিলেন, ‘আমরা অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কিন্তু কতজনের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান তা স্পষ্ট করেননি তিনি।’ আরেক প্রতিবাদী মেহেরুনিসা বলেন, ‘আমরা সবাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাকে সিএএ-এনআরসি প্রত্যাহারের কথা বলব।’ আন্দোলনকারীদের কথায়, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শাহিনবাগ। প্রতিবাদীদের দাবি ছিল, তাদের সঙ্গে সরকার পক্ষ আন্দোলন নিয়ে কোনো কথা বলছে না। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ শাহিনবাগের সিএএ প্রতিবাদীদের কাছে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে আলোচনার আবেদন করেছিলেন। তারপর একই আবেদন এল অমিত শাহের কাছ থেকে। দেশজুড়ে সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদ। লোকসভায় অভাবনীয় সাফল্যের পর একের পর এক রাজ্যে ভোটে হার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।