মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)’র বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রস্তাব পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো নগরী। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এসব আইন দেশটির নিপীড়িত সংখ্যালঘু ও বর্ণ সম্প্রদায়ভুক্ত কোটি কোটি মানুষকে রাষ্ট্রহীনে পরিণত করবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি নগরী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের বৈষম্যমূলক আইনটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করলো। সান ফ্রান্সিসকো সিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবে সিএএ-এনআরসির নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এসব আইন ‘বর্জনমূলক এবং গোঁড়ামিপূর্ণ বিশ্বদর্শনের প্রতিনিধিত্ব করে।’ এর আগে সিয়াটল, আলবানি, সেন্ট পল, হ্যামট্রাম্যাক ও ক্যামব্রিজ নগরী ভারতীয় আইনগুলোর নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও মার্কিন সরকারের ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) কমিশনও সিএএ-এনআরসির তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলে, এসব আইন কোটি কোটি মানুষের নাগরিকত্বকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেও মুসলমানদেরকেই মূলত অমর্যাদা ও সম্ভাব্য রাষ্ট্রহীন হওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হবে। প্রস্তাবটি পাস করাতে অনেক মানবাধিকার সংগঠন কাজ করে। এগুলোর মধ্যে অ্যালায়েন্স ফর জাস্টিজ অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেব্লিটি (এজেএ), আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার, সান ফ্রান্সিসকো ইন্টারফেইথ কাউন্সিল, সান ফ্রান্সিসকো মুসলিম কমিউনিটি সেন্টার। সান ফ্রান্সিসকো হিউম্যান রাইটস কমিশনের কমিশনার হালা হিজাজি বলেন, আজ ইতিহাসের ন্যায্য পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সান ফ্রান্সিসকো সিটি ও কাউন্টিকে নিয়ে গর্বিত। সিএএ’র বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে প্রতিবাদ চলছে তার নৈতিক ঐক্যমতে নেতৃত্ব দিচ্ছে সান ফ্রান্সিসকো। তিনি আরো বলেন, যখন গণহত্যামূলক প্রচারণা শুরু হয় তখন আন্তর্জাতিক নিন্দাবাদ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ হস্তক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে ভারত সরকার যে ইসলামোফোবিক নীতি অনুসরণ করছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য বে এরিয়া কমিউনিটি তাদের নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সংহতি অনুভব করছে। এজেএ উল্লেখ করে, এই আইনে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। এটা সেক্যুলার গণতন্ত্রের সকল রীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এমনকি ভারতের সংবিধানেরও লঙ্ঘন, যাতে সব বিশ্বাসের মানুষকে আইনের চোখে সমানভাবে বিবেচিত হওয়র গ্যারান্টি দেয়া হয়েছে। ইকুয়ালিটি ল্যাবের শারমিন হোসেন এসব আইনকে ‘গণহত্যামূলক প্রকল্প’ হিসেব অভিহিত করে বলেন, সিটি কাউন্সিলের প্রস্তাব দক্ষিণ এশিয়ার সংখ্যালঘু, মুসলিম ও নির্যাতিত বর্ণ সম্প্রদায়গুলোর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আইনগুলো মুসলমান, বর্ণ নির্যাতিত, নারী, আদিবাসী জনগণ ও এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে কাউন্সিল জোর দিলে বলে যে এটা ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের এজেন্ডা। তারা ভারতের পুরো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন ও একঘরে করতে চায়। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর সিএনএ পাস হয়। তবে আইন পাস হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের বিধান চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও নরেন্দ্র মোদি সরকার এখনো তা করতে পারেনি। দ্য ওয়্যার, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।