মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধে রোববার ১৪ ঘণ্টার ‘জনতা-কার্ফুর’ ডাক দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহ্বান জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই ‘বন্দি থাকার’। কিন্তু আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সেই অনুরোধ কানে তুলতে এখনও পর্যন্ত রাজি নয় শাহিন বাগ।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উড়িয়ে বরং বিষয়টিকে দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলা হিসেবে দেখাতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। শাহিন বাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ শাহিন কওসরের কথায়, ‘করোনাভাইরাস যে পৃথিবী জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা চাই না, আন্দোলনের জন্য প্রতিবাদকারীদের কেউ এই রোগের শিকার হোন। কিংবা এখান থেকে তা ক্ষতি করুক অন্যের। সেই কারণেই দিল্লি সরকারের নির্দেশ অক্ষরে-অক্ষরে মেনে এই আন্দোলন জারি রেখেছি।’
কওসর-সহ আন্দোলনকারীদের অনেকের যুক্তি, দিল্লি সরকার বলার পর থেকে এক সঙ্গে ৫০ জনের বেশি বসছেন না প্রতিবাদের মঞ্চে। যারা বসছেন, তাদের মধ্যেও দূরত্ব রাখা হচ্ছে যথেষ্ট। কিছু ক্ষণ অন্তর বার বার হাত ধুচ্ছেন সকলে। ব্যবহার করা হচ্ছে হ্যান্ড-স্যানিটাইজ়ারও। এ ছাড়া, মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জনের শরীর পরীক্ষা করছেন পাশের শিবিরের ডাক্তারেরা। কিন্তু এই মারণ রোগ ঠেকাতে সামাজিক বিচ্ছিনতাকেই যেখানে অস্ত্র করছে সারা বিশ্ব, সেখানে সকলে মিলে বসে এমন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ নয়?
প্রতিবাদীদের উত্তর, ‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই তো এত ঝুঁকি নিয়ে এখনও এখানে বসে রয়েছি। আমরা জানি, করোনা থেকে ছাড় পেলেও সিএএ-এনআরসি থেকে নিস্তার নেই। সেই যদি ভিটেছাড়া, দেশছাড়াই হতে হয়, তা হলে আর করোনাকে ভয় কিসের?’ শাহিন বাগ তাই এখনও অনড়। সূত্র: দ্য ওয়্যার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।