পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে রোকসানা আক্তার নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী আবুল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসি ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে ধামঘর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রোকসানা আক্তারকে (২০) নগদ এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেন আড়ালিয়া গ্রামের জয়দল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (২৫)। সম্প্রতি আবুল হোসেন তার বসত ভিটায় দালান নির্মাণের কাজে হাত দেয়। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে টাকার সমস্যা দেখা দিলে স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা আনার জন্য চাপ দেয় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। চাপ সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি থেকে দু’দফায় এক লাখ টাকা এনে দেয় রোকসানা। এতেও পরিবারের লোকজন সন্তুষ্ট না হয়ে আরো এক লাখ টাকার জন্য তাকে চাপ দিলে সে অপরাগতা প্রকাশ করে। যার ফলে রোকসানা আক্তারের ওপর নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন। গত শুক্রবার স্বামী, শশুর, শাশুরি ও ননদরা মিলে তাকে মারধর করে এবং শুক্রবার গভীর রাতে তাদের বাড়ির উঠানেই লাশ মিলে রোকসানার।
নিহত রোকসানা আক্তারের দুই ভাই সাইদুল ইসলাম ও আল-আমিন জানান, বোনের সংসারে অশান্তি দূর করতে ২ বারে এক লাখ টাকা ভগ্নিপতিকে দেই। আরো ১ লাখ টাকার জন্য তার স্বামী, স্বশুর, শাশুরি ও ননদরা মিলে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টায় আবুল হোসেনের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে জানায়, তোমার বোন মারা গেছে। আমরা গিয়ে দেখি আমার বোনের লাশ তাদের বাড়ির ওঠানে পড়ে আছে। আমরা ধারণা করছি, আমার বোন রোকসানা আক্তারকে নির্যাতন শেষে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়ির আঙ্গিনায় লাশ ফেলে রেখেছে। উক্ত ঘটনায় রোকসানা আক্তারের স্বামী আবুল হোসেন পুলিশী হেফাজতে এবং তার পরিবারের অন্য লোকজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবুল হোসেনকে আটক করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানায় এনেছি। নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।